মমতা বলেন, সারা পৃথিবীকে একটাই নাম থাকবে নন্দীগ্রাম তোমায় প্রণাম। মা বোনেরা সেই দিন অনেক লড়াই করেছেন।
মমতা বলেন, পুরনো অত্যাচারী অনেক সিপিএম চলে এসেছে। বিজেপি তাদের নিয়ে এসেছে। যারা লক্ষণ শেঠের সঙ্গে যারা কাজ করেছিল, তাদের নিয়ে অত্যাচার করার প্ল্যান করছে।ওদের কাউকে
ঢুকতে দেবেন না। যারা ফেস করতে পারে না তারা ফেসের কথা বলেন।
মমতা বলেন এখানে পয়লা এপ্রিল ভোট। ওইদিন ওদের এপ্রিল ফুল করে দেবেন। ১লা এপ্রিল খেলা হবে।
মমতা বলেন. ভবানীপুরটা একবার গিয়ে দেখে আসবেন। পরবর্তী দিনে মডেল নন্দীগ্রাম করে দেবো। কেউ বেকার থাকবে না। নন্দীগ্রাম শহিদদের উদ্দেশ্যে স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে। আমরা ইস্তেহারেও রাখা হবে। চক্রান্ত চলছে কেউ পা দেবেন না। এখানে দুটো বাড়ি নিয়েছি। মাঝে মাঝেই নেব। পরে আমি কুড়েঘর বানিয়ে নেবো।
মমতা বলেন. আমি সকালে চন্ডিপাঠ করে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি। যারা ৩০-৭০ করছে তাদের আমি বলে রাখি। খেলা হবে নাকি বলে মঞ্চে স্লোগান দেয় মমতা। মুখস্থ করে খেলবেন। এথানে হাসপাতাল, কলেজ, শহিদ বেদি কর্মতীর্থ আমি করে দিয়েছি
মমতা বলেন, চণ্ডিপুর থেকে নন্দীগ্রাম এসেছিলাম। কীভাবে তখন মানুষের উপর অত্যাচার করা হয় তখন দেখেছিলাম। তার পর গোটা বাংলা জুডে আন্দোলন করেছিলাম। সেই সময়ে তাহের,সুফিয়ানরা ছিল। ভয়ে অনেকে সেই সময়ে বের হয়নি। যদি মনে করেন আপনাদের ঘরের মেয়ে। তাহলে আমাকে বলবেন তবেই আমি মনোনয়ন জমা দিতে যাব। কেউ কেউ বলে বেরাচ্ছে, আমি নাকি বাইরের লোক। আমি বাংলার লোক। নিজে দিল্লির লোকেদের নিয়ে আসছ। আমি বহিরাগত হলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতাম। যারা হিন্দু-মুসলিম করছেন তাদের আমি বলে রাখি। আমিও হিন্দু ঘরের মেয়ে। আমার সঙ্গে হিন্দু কার্ড খেলতে যাবেন না।
মমতা বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের মধ্যে যে কোনও একটা সিটে লড়াই করব। নন্দীগ্রামে সুফিয়ান-তাহের ফোন করে বলেছিল, গুলি চালানো কথা। সেই শুনে ছুটে চলে এসেছিলাম। সেই সময়ে আমার অপারেশন হয়েছিল। আমার গাড়ি ঘিরে পেট্রোল বোমা মারা হয়েছিল। সেই সময়ে তৎকালীন রাজ্যপাল আমাকে রাত ২টোর সময়ে ফোন করেছিলেন। আমাকে সরে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। আমি শুনে কোলঘাট যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু সেখানেও বাস দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। কোনওরকমে সেখানে গিয়েছিলাম। যে আনিসুরকে এতো দিন ধরে জেলে বন্দি করে রেখেছে। আমি তার বাইকে করে একটু একটু কোনওরকমে করে এসেছি। সেদিন সিপিএম বুঝতে পারেনি কী করে আমি তমলুক হাসপাতালে চলে এসেছি।
মমতা বলেন, আমি যখন শেষ এসেছিলাম তখন নন্দীগ্রাম সিট খালি ছিল। তখন আমি বলেছিলাম নন্দীগ্রামে যদি আমি দাাঁড়াই কেমন হবে। তখন আপনাদের সাহস-উন্মাদনা দেখে আমি নন্দীগ্রামের দুচোখ। ভুলতে পারি সবার নাম ভুলতে পারি নন্দীগ্রাম। আমি জীবনে সিঙ্গুরে আন্দোলন করেছি। তার পরে নন্দীগ্রাম আন্দোলন। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামকে আমি যুক্ত করে দিয়েছিলাম। আমি নিজেও গ্রামের মেয়ে। গ্রামের জন্য আমার ভালো বাসা আছে। শহরে আমি মানুষ হয়েছি। কিন্তু আমার হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট বেলাটা গ্রাম দিয়েছে
মমতা বললেন, আমি দুটো ব়্যালি করব। এটা কর্মীসভা। মানুষে মানুষে ভাগাভাগি হয় না। নন্দীগ্রাম একসময়ে গুণ্ডাদের সঙ্গে লড়াই করেছিল। সারা পৃথিবীতে নন্দীগ্রাম পৌঁছে গিয়েছিল। নন্দীগ্রামের মানুষদের নিয়ে আমি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছি
নন্দীগ্রামে দুই হেভিওয়েটের লড়াই। ইতিমধ্যে প্রচারের জন্য তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড
Helipads for VIPs in #Nandigram pic.twitter.com/pEOORaNuAp
— Poulomi Saha (@PoulomiMSaha) March 9, 2021
আজ নন্দীগ্রামে আসছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তার। আগামীকাল মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন তিনি। প্রসঙ্গত,তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছেন বিজেপিরে শুভেন্দু অধিকারী। ফলে এই আসনটিতে কড়া টক্কর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।