একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারে জন্য ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বিপুল হাওয়া তুলেও এবারের জন্য বাংলার মসনদ অধরাই রয়ে গেল বিজেপির (BJP)। তবে দল জিতলেও নন্দীগ্রামে অবশ্য হেরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কেউ কেউ এটাকে তৃণমূলের নৈতিক পরাজয় বলে দাবি করছেন। তবে তাতে অবশ্য বিশেষ আমল দিচ্ছেন না মমতা নিজে। তিনি এই জয়কে বাংলার মানুষের জয় হিসেবেই ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের একাংশে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এবার কোন পথে এগোবে তৃণমূল?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রায়শই বলতে শোনা যায়, 'তৃণমূলের আগামী ২-৩ প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরি রয়েছে'। আর মমতার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রথমেই যাঁর নাম উঠে আসে, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুভেন্দু অধিকারীর মতো বিরোধীরা কখনও নাম করে, কখনও নাম না করে অভিষেকের সমালোচনা করলেও রাজনৈতিক বিষেজ্ঞরা মনে করছেন নিজের ভাইপোর প্রতি এতটুকুও আস্থা কমেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বরং তৃণমূলের নানা অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন সময় পিকের সঙ্গে দেখা গিয়েছে অভিষেককেই। এমনকী বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বেও সারা বাংলাজুড়ে দলের জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন তিনি। ওয়াকিবহালমহলের কেউ কেউ মনে করছেন, এইসবের মধ্যে দিয়ে হয়ত মমতা একদিকে অভিষেককে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো করে গড়ে তুলতে চাইছেন, অন্যদিকে আবার তাঁর অবর্তমানে অভিষেকই যে দলের প্রধান কাণ্ডারী সেই বার্তাও তুলে ধরছেন।
রবিবারই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছ। সেই ফল ঘোষণার পরেও দেখা গিয়েছে অভিষেকের সঙ্গে আলোচনা সারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মমতা মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁর পাশে দেখা যা অভিষেকের মেয়েকেও। কেউ কেউ বলছেন, আগামিদিনে যে অভিষেককে আরও বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, এটা হয়ত তারই ইঙ্গিত। একইসঙ্গে এর মধ্যে দিয়েই হয়ত আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বকেও প্রকাশ্য তুলে ধরতে চাইলেন মমতা।