মাঝে আর মাত্র একটা দিন। তারপরেই নন্দীগ্রামের (Nandigram) মহারণ। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ লড়াই। যার প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তাঁর একসময়ের বিশ্বস্ত সেনাপতি তথা বর্তমান বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গোটা প্রচার পর্বে একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা ও শুভেন্দু। এমনকি মমতাকে নন্দীগ্রামে বহিরাগত বলেও আখ্যা দিয়েছেন অধিকারী পরিবারের এই সন্তান। পালটা নন্দীগ্রামবাসীর মন জিততে ইতিমধ্যেই বেশকিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতাও।
নন্দীগ্রামে যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হয়েছেন, তাই তাঁর থাকা ও নির্বাচনী কাজকর্ম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যেই সেখানে বাসস্থান ও কার্যালয়ের ব্যবস্থা করেছে দল। তবে নন্দীগ্রামের আশীর্বাদ পেতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা আরও খানিকটা বেশি। এক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন সভায় বক্তব্য রাখার সময় হাবেভাবে খেলার আগেই কার্যত তিনি ম্যাচ জিতে গিয়েছেন এমনটাই বোঝাবার চেষ্টা করেছেন মমতা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, হয়ত সেই কারণেই নন্দীগ্রামে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, "পশ্চিমবঙ্গের যেকোনও জায়গা থেকে দাঁড়ালেই আমি জিতবো। কিন্তু আমি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়িয়েছি এখানকার মানুষের আন্দোলনকে সম্মান জানাতে। নন্দীগ্রামে যখন ঢুকেছি আর বেরোচ্ছি না। নন্দীগ্রাম আমার মাটি।"
এখানেই শেষ নয়, নন্দীগ্রামে আরও উন্নয়নের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে তিনি থাকবেন বলেও ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, "ভোটের দিন থাকব। তারপরেও এখানে মাঝে মাঝে আসব, থাকব। ২১মে যে সরকার গঠন হবে তার মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রাম থেকেই হবে"। এমনকি খোলসা করে না বললেও নন্দীগ্রাম থেকে শপথে নেওয়ারও ইঙ্গিও দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে নন্দীগ্রামে সিএমও-র একটি দফতর খোলারও ঘোষণা করেছেন মমতা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে এই সমস্ত কথার মধ্যে দিয়ে একদিকে তাঁর জয় যে নিশ্চিত, সেটা যেমন তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তৃণমূলনেত্রী, অন্যদিকে তেমনই চেষ্টা করছেন বিবিধ প্রতিশ্রুতির মধ্যে দিয়ে আরও বেশি করে নন্দীগ্রামবাসীর মন জেতার। যদিও কথার মাধ্যমে আদতে নন্দীগ্রামের জনতার মন কতটা জিততে পারলেন মমতা, তা অবশ্য বলবে ভোটের ফলাফল।