scorecardresearch
 

শুভেন্দুর পথেই রাজীব? এড়ালেন মন্ত্রিসভার বৈঠক, গড়হাজির আরও ৩

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ক্রমেই চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল নেতৃত্বের। বেসুরো রাজীবের মান ভাঙাতে সোমবার নিজের বাসভবনে বনমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় দু'ঘণ্টা বৈঠক করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও সেই বৈঠক থেকে বনমন্ত্রীকে নিয়ে জটিলতা কাটেনি বলেই সূত্রের খবর। ধোঁয়াশা জিইয়েই রেখেছেন ডোমকলের বিধায়ক। এরমধ্যেই মঙ্গলবার রাজ্যসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এলেন না রাজীব। যার জন্য তাঁকে ঘিরে জল্পনা আরও বাড়ল।

Advertisement
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
  • তারপরেই মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির
  • রাজীবের সঙ্গে অনুপস্থিত রাজ্যের আরও ৩ মন্ত্রী

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ক্রমেই চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল নেতৃত্বের। বেসুরো রাজীবের মান ভাঙাতে সোমবার নিজের বাসভবনে বনমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় দু'ঘণ্টা বৈঠক করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও সেই বৈঠক থেকে বনমন্ত্রীকে নিয়ে জটিলতা কাটেনি বলেই সূত্রের খবর। ধোঁয়াশা জিইয়েই রেখেছেন ডোমকলের বিধায়ক। এরমধ্যেই মঙ্গলবার রাজ্যসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এলেন না রাজীব। যার জন্য তাঁকে ঘিরে জল্পনা আরও বাড়ল।

 

অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রাজীবের, কাটল না জট

মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠকে রাজীব ছাড়াও গরহাজির ছিলেন রাজ্যের হেভিওয়েট আরও ৩ মন্ত্রী। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। স্বাভাবিকভাবেই ৪ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। ফের ভাঙনের গন্ধ পান অনেকেই। তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেন,  জল্পনার কোনও প্রশ্নই নেই। যাঁরা বৈঠকে ছিলেন না তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের হাজির না থাকার কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন।

দলবদলের বাংলায় মমতাকে নিয়ে কার্টুন পোস্ট দিলীপের! দেখুন

তবে রাজীবকে ছাড়া এদিন বৈঠকে অনুপস্থিত বাকি ৩ মন্ত্রীকে নিয়ে এখনও রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা ছড়ায়নি। জানা যাচ্ছে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এদিনের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। ‘‌দুয়ারে সরকার’‌ কর্মসূচির ব্যস্ততার কারণে এলাকা ছাড়তে পারেননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁরা আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জানিয়েছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। আর ব্যস্ততার কারণে এদিন কলকাতায় আসতে পারেননি মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাও। তবে বাকি ৩ জনের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে প্রতিক্রিয়া মিললেও রাদীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

Advertisement

 সাম্প্রতিক কালে  রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার নাম না করেই দলের সমালোচনায়  সরব হতে দেখা গেছে৷ এর পরেই বনমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রশমনে তাঁর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দল৷ রাজীবের সঙ্গে এনিয়ে দু'বার বৈঠকও হয়  দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ শোনা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহেও রাজীবকে নিয়ে বসতে পারেন পার্থ। সোমবার বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমকে সাবধানী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “দলীয় নেতৃত্ব ডেকেছিল। দলের নির্দেশ পালন করে কর্মী হিসেবে এখানে এসেছি। এর আগেও পার্থদার বাড়িতে এসেছি। তখন তো কেউ জানতই না।” প্রসঙ্গত  কয়েকদিন আগেই রাজীব অভিযোগ করেছিলেন দলে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন। আর যাঁরা স্তাবকতা করেন তাঁরা পদ পাচ্ছেন। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রসঙ্গে সোমবার সাংবাদিকরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে রাজীব জানান, “নিন্দুকদের কাজই নিন্দা করা। আমি নিজের থেকে এখনও কিছু বলিনি।” বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, দলের মধ্যের কথা। সে কথা আমি সংবাদমাধ্যমকে জানাব না।” বৈঠক শেষে তিনি নিজের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর তুলনা টানাতেও আপত্তি জানান৷ দলবদলের জল্পনাও কার্যত উড়িয়ে দেন৷ তবে সূত্রের খবর রাজীব যেভাবে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখছেন তাতে তৃণমূল শিবিরও ধীরে ধীরে অন্য কথা ভাবতে শুরু করছে। এর আগে শুভেন্দু অধিকারীকেও একাধিকবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক এড়াতে দেখা গিয়েছিল। রাজীবকেও গত ৩ মাস মন্ত্রিসভার কোনো বৈঠকে দেখা যায়নি। তাই শুভেন্দুর মত তিনিও কোনও চমক দেন কিনা সেদিকেই এখন তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল। 

 

Advertisement