করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচনের যে কটি দফা বাকি রয়েছে তাতে বড় কোনও ভিড় বা জমায়েত নয় বরং মানুষকে সচেতন করার ওপরেই জোর দিতে চলেছে বামেরা। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কার্যত এমনটাই বললেন সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim)। এদিন তিনি বলেন, '৪ দফার নির্বাচন শেষ। আগামী পর্যায়ের নির্বাচনে বড় ভিড়, হইচই পাকানো প্রচারে না গিয়ে, যতটা সম্ভব মানুষকে সচেতন করা, নির্বাচনী কর্মীদের সচেতন করা হবে। যেখানে ভোট হয়েছে এবং যেখানে ভোট হয়নি সর্বত্র, যা গত একবছর ধরে করা হয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানো, বাস্তব পরিষেবা নিয়ে তাঁদের সচেতন করা, ত্রাণ নিয়ে যাওয়া এবং মানুষের অধিকার ও খাদ্য নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে।'
অন্যদিকে বাকি ৩ দফার প্রচার প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, 'বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রচার করা হবে। বড় কোওনও ইভেন্ট নয়, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে করা হবে ছোট ছোট বৈঠক। সৃজনীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে হবে প্রচার। পর্যাপ্ত পরিমানে ব্যবহার করা হবে মাস্ক ও স্যানিটাইজার।'
এদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়য়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশনও। দৈনিক সংক্রমণ যেভাবে লাফিয়ে বাড়ছে তাতে নির্বাচন শেষ হতে হতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ তারিখ কলকাতায় সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত বাংলায় ভোটপ্রচারে করোনা বিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। বেশিরভাগ মানুষ, এমনকি রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের অনেককেও মাস্ক পরতে দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আদালতের হস্তক্ষেপে চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ভিড় রুখতে জেলাশাসক ও কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা ব্যবহার করা যেতে পারে। জনসভায় সকলের মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক। হাইকোর্টের নির্দেশনামা ইতিমধ্যেই কমিশন ও জেলাশাসকদের পাঠিয় দেন মামলাকারীর আইনজীবী। তারপরেই সর্বদল বৈঠক ডাকেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। চিঠিতে রাজ্যের ১০টি স্বীকৃতি রাজনৈতিক দলের ১ জন করে প্রতিনিধিকে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।