নন্দীগ্রামে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেখানে লড়বেন সিপিআইএমের মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। তিনি ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী। ভোট রাজনীতিতে নতুন মীনাক্ষিকে দাঁড় করিয়ে কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওয়াকওভার দিয়ে দিল সিপিআইএম?
ইতিমধ্যে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রটি সবার নজর কেড়েছে। কারণ সেখানে ভোটে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। যে শুভেন্দু অধিকারী একদা মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং তৃণমূলের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন। এর পাশাপাশি নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করা হয
জামা গিয়েছিল, নন্দীগ্রাম আসনটি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর প্রতিষ্ঠাতা, ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে তিনি দাঁড়াচ্ছেন না। তার জায়গা সেখানে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী করেছে মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়কে।
যিনি দীর্ঘদিন রাজনীতি করলেও ভোটের রাজনীতিতে আনকোরা, এই নিয়ে সন্দেহ নেই। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সিপিআইএম ওই কেন্দ্রে তৃণমূলকে ওয়াকওভার দিয়ে দিল? এর কারণ সেখানকার জনবিন্যাস। সেখানকার জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
মনে করা হচ্ছিল আব্বাস সিদ্দিকি দাঁড়ালে ভোট ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা থাকত। এবং তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারত। কিন্তু আব্বাস না দাঁড়িয়ে মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ের দাঁড়ানোয় অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক বিশ্লেষক উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওয়াকওভার কিনা বলতে পারব না। তবে অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল, এ নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ সেখানকার জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। আব্বাস সিদ্দিকি দাঁড়ালে ভোট ভাগাভাগি সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। তবে এখন ধরে নেওয়া যেতে পারে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই থাকবে।
মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ের লড়াকু নেত্রী হিসেবে পরিচিত। ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষা, কাজের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলি। অভিযোগ, তাদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। আর ওই কর্মসূচিতে পুলিশের মারে এক বাম যুবকর্মী মারা গিয়েছেন। ওই দিন পুলিশের হামলার মুখে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন মীনাক্ষি। ফলে ভোট-ময়দানে নতুন হলেও তিনি সহজে ছেড়ে দেবেন না। এমনই জানাচ্ছেন বাম ছাত্র-যুবরা।