"বিজেপি স্কিমে চলে, তৃণমূল স্ক্যামে চলে। স্কিম যে সরকারেই হোক, তৃণমূল স্ক্যাম করার জন্য কোনও না কোনও উপায় ঠিক খুঁজে বের করে নেয়। তৃণমূলের মূল মন্ত্রই হল স্ক্যাম।" রবিবার (Sunday) বাঁকুড়ার (Bankura) সভা থেকে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। দুর্নীতি নিয়েও এদিন তৃণমূলকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত জনতাকে সঙ্গে নিয়ে মোদী স্লোগান তোলেন, "ভ্রস্টাচারের খেলা চলবে না চলবে না, সিন্ডিকেটের খেলা চলবে না চলবে না, কাটমানির খেলা চলবে না চলবে না।"
'খেলা হবে' স্লোগানের প্রেক্ষিতে এদিন ফের একবার তৃণমূল নেত্রী ও তাঁর দলকে নিশানা করেন মোদী। বলেন,"চাষের ক্ষেতে জল নেই, বেকারদের জন্য চাকরি নেই। আর আপনি বলছেন খেলা হবে ! ১০ বছর বাংলার সঙ্গে খেলেও আপনার মন ভরেনি? পশ্চিমবঙ্গ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, এবার খেলা শেষ হবে, উন্নয়ন আরম্ভ হবে।"
মমতাকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "দিদি আপনি আসল চেহারা ১০ বছর আগে দেখালে কখনই বাংলায় আপনার সরকার হত না। কেন বলেছিলেন মা মাটি মানুষের কথা। আজ বাংলার মানুষ যখন তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়ার কথা ভেবে নিয়েছেন তখন দিদি আমার ওপর রেগে যাচ্ছেন। দিদি আপনি আমায় লাথি মারতে পারেন, আমার মাথায় পা রাখতে পারেন, কিন্তু আপনাকে আর বাংলার উন্নয়নে লাথি মারতে দেব না। আর বাংলার মানুষের স্বপ্নকে লাথি মারতে দেব না। আর গরীব - আদিবাসীদের লাথি মারতে দেব না। আমায় ও আমার দলকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এই সংস্কারই দিয়েছেন।"
বাঁকুড়ার সভায় আবারও একবার মোদীর মুখে শোনা যায় 'ডবন ইঞ্জিন সরকারের' কথা। তিনি বলেন, "কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল আগেই বাংলাকে বরবাদ করেছে। এদের নীতির জন্য বাংলায় উন্নয়ন দ্রুতগতিতে সম্ভব হয়নি। কিন্তু যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ আমি নষ্ট হতে দিতে পারি না। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিকীকরণের জন্য দরকার বিজেপি সরকার। ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট হবে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার হলে এখানে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প লাগু হবে।" মোদী বলেন, "দিদি এখন থেকেই ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। দিদি আপনি দিনেও পরাজয় দেখেন, রাতেও পরাজয় দেখান।" এরপরেই জনতার উদ্দেশ্যে মোদীর আহ্বান, "আসুন আমরা সংকল্প করি, এবার বিজেপি, এবার নিশ্চয় আসছে বিজেপি।"