বিজেপির 'মহাগুরু'কে সামলাতে তৃণমূলের ভরসা 'গুড্ডি'। দিন কয়েক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি নেমে পড়েছেন প্রচারে। আর তাঁকে টেক্কা দিতে তৃণমূলের বাজি অভিনেত্রী-সাংসদ জয়া বচ্চন।
রবিবার তিনি কলকাতায় এসেছেন। আজ, সোমবার তাঁকে তৃণমূলের তরফ থেকে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। বিকেলে তৃণমূলের টালিগঞ্জের প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের হয়ে রোড শো করার কথা জয়া বচ্চনের।
সমাজবাদী পার্টি (সপা) বাংলার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলে সমর্থনের কথা জানিয়েছে। দীর্ঘদিন তারা বামফ্রন্টে ছিল। তবে এখন সে ছবি বদলে গিয়েছে। তারা মনে করে, বাংলায় বিজেপিকে হারাতে পারে তৃণমূল। তাই সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব মমতাকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সেই সিদ্ধান্ত শুধু মুখের নয়। তাদের যাতে সব রকম ভাবে সাহায়্য করা যেতে পারে, তারই একটা উদাহরণ জয়া বচ্চনকে বাংলার প্রচারে পাঠানো। জয়া বচ্চন জন্মসূত্রে বাঙালি। তাঁর বাবা বিশিষ্ট সাংবাদিক, ওপন্যাসিক তরুণকুমার ভাদুড়ি।
সেই বাঙালি পরিচয়ই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। মিঠুন চক্রবর্তী যখন মুম্বই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তখনও তাঁর সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ অটুট। নিজের শিকড় কখনও ভুলে যাননি তিনি। বিজেপি-কে বার বার বাঙালিবিরোধী দল হিসেবে দেখাতে চেয়েছে তৃণমূল। তার জবাব হিসেবে বিজেপির বাজি মিঠুন চক্রবর্তী।
এবার তৃণমূল জয়া বচ্চনকে প্রচারে এনে তাদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ করল। জয়া দীর্ঘদিনের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। তিনি নিয়মিত সংসদে যান। এমনকী এই তারকা সাংসদের উপস্থিতির হার লজ্জায় ফেলতে পারে অন্য রাজনৈতিক দলের সাংসদদের। বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চারও হন তিনি।
সোমবার সমাজবাদী পার্টির সহ-সভাপতি, রাজ্যের প্রাক্তন মৎস্যমন্ত্রী কিরণময় নন্দ বলেন, জয়া ভাদুড়ি এক প্রতিথযশা বাঙালি। তাঁর বাবা বিশিষ্ট লেখক এবং সাংবাদিক। তিনি অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী। তবে তিনি নিজের পরিচয় নিজেই গড়ে তুলেছেন। জয়া ভাদুড়ি সমাজবাদী পার্টির দীর্ঘদিনের সাংসদ। তিনি মহিলা নেত্রী। আশা করা যায়, তাঁর কর্মসূচিতে প্রচুর মানুষ আসবেন। এবং তিনি তাঁদের কাছে নিজের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, সমাজবাদী পার্টি তৃণমূলকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই জয়া বচ্চন তৃণমূলের প্রচারে এসেছেন। আমিও তৃণমূলের সভায় থাকছি। রোড শো হোক বা সভা- জয়া ভাদুড়ির কথা শুনতে মানুষ আসবেন। এবং তৃণমূল আরও বেশি মানুষের কছে পৌঁছতে পারবে।