সমস্ত জল্পনার অবিসান ঘটিয়ে নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীকেই (Suvendu Adhikari) প্রার্থী করেছে বিজেপি (BJP)। প্রার্থী হওয়ার পরেই নাম না করে মমতাকে শুভেন্দুর আক্রমণ, 'আমি নন্দীগ্রামের মাটির ছেলে। আর উনি অতিথি। প্রতি ৫ বছর অন্তর নন্দীগ্রামের বিষয়ে ভাবেন।' শুভেন্দু বলেন, 'যদি তৃণমূল আবারও ক্ষমতায় আসে তবে বাংলা কাশ্মীর হয়ে যাবে।' নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর নিজের প্রথম সমাবেশে শুভেন্দু বলেন, 'কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। তারা আমাকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। নাম ঘোষণার পর এটা আমার প্রথম জনসভা। এই মাটিকে আমি চিরদিন মনে রাখবো।'
নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, 'আমি নন্দীগ্রামের মাটির ছেলে। কিন্তু উনি একজন অতিথি। প্রতি ৫ বছর অন্তর নন্দীগ্রামের বিষয়ে ভাবেন।' এই বিষয়ে আজতক ও ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতার উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, 'উনি এখানে ভাড়া দিয়ে ঘর নিয়েছেন। কিন্তু তিনি নন্দীগ্রামে বহিরাগত। আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম। আমি ওনাকে ৫০ হাজার ভোটে হারাব।' শুভেন্দু আরও বলেন, 'এই সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিজেপি নন্দীগ্রাম ও পশ্চিমবঙ্গে জিতবে। কলকাতা তোলাবাজদের দেখে বিরক্ত। তারাই মমতাকে বাংলা থেকে দূর করবে।'
মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, 'আমি দলের সৈনিক, দাবিদার নই।' এর আগে শুভেন্দু বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভবানীপুর থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত হেলিকপ্টারে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি নন্দীগ্রাম যাচ্ছি। প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ফের কলকাতায় পাঠিয়ে দেব।' মমতাকে বিঁধে শুভেন্দু বলেন, 'যিনি নিজের বুথে জিততে পারেন না, তিনি বাংলার নেতা হতে পারেন না। দিদি পদে বড় হতে পারেন। কিন্তু জননেতা নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বুথে ভোট দেন সেখানেই ২০১৯ সালে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।' সমাবেশে সিএএ ও অযোধ্যার রামমন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে আক্রমণ করেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকেও।