কিছুদিন আগে ভোটারদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, ভোট না দিলে নাকি জলের লাইন না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সেই ভিডিও প্রকাশিতও হয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে। যদিও তারপরেও নিজের জয়ের বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত এই প্রার্থী। তিনি তপন দাশগুপ্ত। হুগলির সপ্তগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। এমনকি প্রচারে বেরিয়ে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছেন বলেও দাবি তপনবাবুর। গত ৫ বছরে কী কী কাজ করেছেন এবং ফের জিতলে কোন বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন, সেই সবকিছু নিয়ে কথা বললেন আজতক বাংলার সঙ্গে।
আজতক বাংলা - প্রচারে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
তপন দাশগুপ্ত - "ব্যাপক সাড়া। সবাই বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি। আপনি উন্নয়ন করেছেন, তাই আপনার সঙ্গে আছি।"
প্রচারে মানুষকে কী বলছেন?
"আমার সব কাজই হয়ে গেছে। যেটুকু বাকি আছে ৫ বছরে করে দেব।"
গত ৫ বছরে এমন কোন কাজ করেছেন যার জন্য মানুষ ফের আপনাকে ভোট দেবেন?
"স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হবে। বিএড করছি, আইটিআই করছি। গ্রামে হাই মার্স লাইট করেছি, যার অর্ধেক ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। গ্রামে মাটির তলা দিয়ে পাইপ লাইনে জলের সংযোগ দিয়েছ। পৌরসভা অঞ্চলেও সেই কাজ হয়েছে।"
ফের জিতে এলে প্রথম কোন কাজে হাত দেবেন?
"বাড়ি বাড়ি জলের কাজটা ৫ বছরের মধ্যে পুরোটাই হয়ে যাবে। দেড়কোটি যে চাকরির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে ৪৪ হাজার আমার এলাকায় হবে। ৫ বছরে আর বেকার থাকবে না। এছাড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হবে। তার জন্য জায়গাও দেখা হয়ে গিয়েছে।"
রাজনৈতিক মহল বলছে এবারের ভোটে বিজেপির পালে ভালই হাওয়া, নির্বাচন কি অন্যবারের চেয়ে কঠিন লাগছে?
"বিজেপির কোন হাওয়া নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাওয়া বইছে। নির্বাচন একেবারেই কঠিন না। দিদি ২২৪-২২৫ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবেন।"
সপ্তগ্রামের প্রার্থী নিয়ে বিজেপির অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল, সেটা কি আপনাকে বাড়তি সুবিধা দেবে?
"তৃণমূলের থেকে খেয়েদেয়ে ভোগ করে বিজেপিতে গেছে। এলাকায় কোনও জনসেবা নেই। এগুলো এলাকার মানুষ জানেন। পুরনো বিজেপি কর্মীরাও নামেনি। আমার সঙ্গে রোজ দেড় দুহাজার লোক রোড শো করছে। ওদের সঙ্গে ৩০টা লোক। কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওদের সঙ্গে নেই।"
বিজেপির অভিযোগ তাদের দলে প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভের সময় নাকি তৃণমূল লোক ঢুকিয়ে দিয়েছিল?
"মিথ্যে কথা। আমাদের কোনও ঠেকা পড়েনি যে লোক ঢোকাতে যাব।"
দেশে ফের করোনা বাড়ছে, প্রচারে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে?
"করোনায় সময় ১৯২ দিন মানুষকে খাইয়েছি। আমার এলাকায় করোনা হয়নি। বাঁশবেড়িয়ার মানুষ জানেন। তবুও আমরা বিধি মেনেই প্রচার করছি।"
নিজের জয় নিয়ে কতটা আশাবাদী?
"১০০ নয়, ১১০ শতাংশ নিশ্চিত আমিই জিতব।"