scorecardresearch
 

বাড়তি কাজ করানোর অভিযোগ, ম্যানেজার ঘেরাও, বন্ধ রইল আলিপুরদুয়ারের চা-বাগান

শ্রমিকেরা অভিযোগ করেছেন, কর্তৃপক্ষ তাঁদের দুবেলা কাজ করাচ্ছেন। যা নিয়ম বিরুদ্ধ। প্রতিবাদে বাগান ম্যানেজারকে দিনভর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন সেখানকার শ্রমিকরা।

Advertisement
দু'বেলা কাজ করানোর অভিযোগ। প্রতিবাদে বিক্ষোভ শ্রমিকদের। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের নিমতি চা-বাগানে। ছবি: অসীম দত্ত দু'বেলা কাজ করানোর অভিযোগ। প্রতিবাদে বিক্ষোভ শ্রমিকদের। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের নিমতি চা-বাগানে। ছবি: অসীম দত্ত
হাইলাইটস
  • শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে বন্ধ রইল আলিপুরদুয়ারের একটি চা-বাগানের কাজ
  • মঙ্গলবার কালচিনি ব্লকে
  • ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা দিনভর নিমতি চা বাগানের ম্যানেজারকে ঘেরাও রাখেন বলে অভিযোগ

শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে বন্ধ রইল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)-এর একটি চা-বাগান (Tea Garden)-এর কাজ। মঙ্গলবার কালচিনি ব্লকে। ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা দিনভর নিমতি চা বাগানের ম্যানেজারকে ঘেরাও রাখেন বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্রমিকেরা অভিযোগ করেছেন, কর্তৃপক্ষ তাঁদের দুবেলা কাজ করাচ্ছেন। যা নিয়ম বিরুদ্ধ। প্রতিবাদে বাগান ম্যানেজারকে দিনভর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন সেখানকার শ্রমিকরা।

চায়ের শুখা মরশুমে বাগানে একবেলা কাজ করার নিয়ম আছে। এবং জেলার ৬২টি চা-বাগান (Tea Garden)-এ বর্তমানে একবেলা করেই কাজ করছে বাগানের শ্রমিকরা। তবে ওই বাগানের শ্রমিকদের অভিযোগ,কর্তৃপক্ষ বলপূর্বক শ্রমিকদের দিয়ে দুবেলা কাজ করাচ্ছেন।

বাগানের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বাগান ম্যানেজার তাঁর মনের মতো নিয়ম তৈরি করে বাগানের শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। এদিন সকাল থেকেই শ্রমিকরা বাগানে  কাজে যোগদান না দিয়ে ফ‍্যাক্টরি সামনে ধরনা-অবস্থান শুরু করেন তাঁরা।

শ্রমিকদের দাবি, তারা বাগানের নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১৫ মার্চ থেকে দু'বেলা কাজ করবেন। তার আগে নয়। না হলে তারা আরও বড়সড় আন্দোলন করবেন।

এই বিষয়ে নিমতি চা-বাগান (Tea Garden)-এর ম‍্যানেজার বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, বাগানের সব গাছে নতুন পাতা চলে এসেছে। আর এই সময়ে একবেলা কাজ করলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। তাঁর দাবি, এবং বাগানের শ্রমিকরা দুবেলা কাজ না করলে নতুন পাতা নষ্ট হয়ে যাবে।

বাগান ম্যানেজার জানান, বেশির ভাগ বাগানেই মার্চ মাস থেকে পুরোদমে দুবেলা কাজ শুরু হয়েছে। শ্রমিকদের বলা হয়েছে সোমবার থেকে দুবেলা কাজ করতে।

তাঁর অভিযোগ, শ্রমিকরা সোমবার চা  পাতা ওজন না করেই পাতা ফেলে চলে গিয়েছে। শ্রমিকদের জন্য বাগানের প্রায় ১৪০০ কেজি চা পাতা নষ্ট হয়েছে । 

এদিন আরও জানান, পুরো ফেব্রুয়ারি মাস এক বেলা কাজ করানো হয়েছে। এখন পাতা চলে এসেছে। তাই এখন বলা হয়েছে দুবেলা কাজ করতে। কিন্ত শ্রমিকরা কেউ বলছে দোলের পর কেউ বলছে ১৫ তারিখ পর দুবেলা কাজ করবে ।

Advertisement

এদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চায়ের শুখা মরশুমে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব চা বাগানেই একবেলা করে কাজ করেন বাগান শ্রমিকরা। এই মরশুমে চা বাগান (Tea Garden)-এর গাছে  নতুন পাতা জন্ম নেয় না।

মার্চ মাসের ১৫ তারিখের পর থেকেই চা গাছে নতুন পাতা আসতে শুরু করে। মার্চ মাসের ১৫ তারিখের পর থেকেই বাগানের শ্রমিকরা দুবেলা কাজ করেন।

 

Advertisement