"যৌথ পরিবারে পাঁচটা বাসন থাকলে আওয়াজ তো হবেই, কিন্তু দিনের শেষে আমরা নিজেরাই সেগুলো মিটিয়ে নিই।" প্রথম বিধানসভা ভোটের প্রচারে নেবে দলের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রশ্নে এমনটাই বললেন কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)। প্রসঙ্গত কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর মঙ্গলবারই প্রথম কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে পা রাখেন তিনি। আর বুধবার থেকেই প্রচারে নেমে পড়েন অভিনেত্রী। তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায় বলেন, "গতকাল আমি বলেছিলাম গাড়িতে করে নয় পায়ে হেঁটে মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছাব। আর আজ থেকেই সেই কাজ শুরু করে দিলাম।" তিনি আরও বলেন, "এই লড়াই বাংলার মানুষের লড়াই। এখানকার যাঁরা স্থানীয় নেতৃত্ব আছেন আমি তাঁদের শ্রদ্ধা করি এবং তাঁরা যেভাবে বলবেন আমি সেভাবেই চলবো।" এর পাশাপাশি তিনি বলেন, "মাথার উপর যখন দিদি আছেন, তখন আমাদের আর চিন্তা কিসের। এ লড়াইয়ে আমরা জিতবোই।"
প্রসঙ্গত প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত তৃণমূল। বিভিন্ন জেলা থেকে উঠে আসছে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের খবর। কোথাও প্রার্থীকে মেনে নিতে পারছেন না দলীয় কর্মী সমর্থকদের একাংশ। কোথাও আবার দলের টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দলীয় নেতা মন্ত্রী তথা বিদায়ী বিধায়করা। ইতিমধ্যেই দলও ছেড়েছেন অনেকে।
এই বছর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন অনেক তারকা। টিকিট পেয়েছেন রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষ, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, চিরঞ্জিতের মতো তারকারা। টিকিট পেয়েছেন অদিতি মুন্সির মতো সঙ্গীত শিল্পী। খেলার জগত থেকে টিকিট পেয়েছেন, মনোজ তিওয়ারি বিদেশ বসু। এছাড়াও টিকিট পেয়েছেন, ওমপ্রকাশ মিশ্র, সুজাতা মণ্ডল ও প্রাক্তন পুলিশ কর্তা হুমায়ুন কবির। আর এরপরেই শুরু হয়ে যায় দলত্যাগ পর্ব। টিকিট না পেয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সোনালী গুহ, জটু লাহিড়ী, দীপেন্দু বিশ্বাসের মতো নেতারা। আবার টিকিট পেয়েও কেন্দ্র পছন্দ না হওয়ায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সরলা মুর্মু।