সোমবার (Monday) হুগলির (Hooghly) সাহাগঞ্জের ডানলপ মাঠে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ২৪ তারিখ সেই মাঠেই সভা করবেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই তার আগে সেই জায়গা গঙ্গাজল দিয়ে সাফ করল তৃণমূল। মঙ্গলবার হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদবের নেতৃত্বে এই সাফাই অভিযান চালানো হয়। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "মোদী হুগলির মাটিকে অপবিত্র করে দিয়েছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে সেই জায়গাকে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করা হল।" তৃণমূলের দাবি, "বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন মোদী।" এদিন মোদীর সেই সমস্ত অভিযোগেরও সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত সোমবার হুগলির ডানলপ মাঠের সভামঞ্চ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, "বাংলার সিন্ডিকেট ও কাট মানি ছাড়া কেউ বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত নিতে পারেন না।" তাই যতক্ষণ বাংলায় সিন্ডিকেট, তোলাবাজি ও কাট মানির সংস্কৃতি থাকবে, ততক্ষণ এখানকার উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেই মনে করেন মোদী। তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, "রাজ্যের দেড় থেকে পৌনে দুই কোটি গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে মাত্র ৯ লক্ষ পরিবারে পাইপলাইনের মাধ্যমে জলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে।" আর এর জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ি করেন তিনি। সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, "হুগলির ধান ও আলু কৃষকদের কারা লুঠ করছে তা আমার চেয়ে আপনারাই বেশি ভাল জানেন।" একইসঙ্গে গঙ্গার দুই ধারে পাটশিল্পের দুর্দশার কথাও উঠে আসে মোদীর বক্তব্যে।
নরেন্দ্র মোদীর আরও অভিযোগ, "হুগলির বন্দেমাতরম ভবন বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। এই নেপথ্যে রয়েছে অনেক বড় রাজনীতি। এই রাজনীতিই বাংলার মানুষকে দুর্গা পুজো ও বিসর্জনে বাধা দেয়।" প্রধানমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের অবশ্য আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। আর এবার গঙ্গাজলে সভাস্থলে 'শুদ্ধিকরণ অভিযান' চালালো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এখন দেখার বুধবার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে মোদীকে পালটা কী বার্তা দেন মমতা।