"বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল সংগ্রহ নাটক, সিপিএমও (CPIM) কৃষকদের কথা বলে বছরে দুবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান নিত। এটা ভাওতাবাজি, চালাকি, ভণ্ডামি।" বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপির (BJP) চাল সংগ্রহ কর্মসূচিকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) নেতা স্বপন দেবনাথ (Swapan Debnath)। রবিবার (Sunday) তিনি বলেন, "পর্যটকদের মতোই ওঁরা এখানে আসছেন, বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে জানার চেষ্টা করছেন এটা ভালো। কিন্তু এতদিন বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কখনো আসেননি, এখন এলেন। কারণ আসল উদ্দেশ্য অন্য, নির্বাচন সামনে, তাই ঘন ঘন আসা।"
স্বপন দেবনাথ বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হবে বলেই সকলে এসে কৃষকদের কথা বলছেন, উন্নয়নের কথা বলছেন। আর দিল্লিতে আন্দোলন করতে গিয়ে যে কৃষকরা মারা যাচ্ছেন, সেই কৃষকদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর জন্য তাঁরা সময় পান না।" তিনি বলেন, "বিজেপি অভিযোগ করছে কৃষক সম্মান প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে লাগু করতে দেওয়া হচ্ছে না, কিন্তু এই প্রকল্পের তালিকা চাওয়া হলে কেন্দ্র তা দিতে চায়নি।" স্বপনের দাবি, "প্রকল্প চালু হলে আসল ধোকাবাজি ধরা পড়ে যাবে।"
অন্যদিকে আয়ুষ্মান প্রকল্প নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন স্বপন দেবনাথ। তাঁর কটাক্ষ, "কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্যকে দিতে হবে। যদি এতই মানুষের প্রতি দরদ তবে পুরো টাকাই কেন দিচ্ছে না কেন্দ্র।" এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী প্রল্পের তুলনাও দেন স্বপন। মন্ত্রী বলেন, "স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ২০১৬ সালে চালু হওয়ার পর ২০১৭ সালে কার্যকরী হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলায় লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল দু লক্ষ ৭২ হাজার ৬০০-র কিছু বেশি। সেই জায়গায় ২০২০ সালের মধ্যেই দু লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি মানুষ এবং 76 হাজার পরিবার এই কার্ডে উপকৃত হয়েছে।" স্বপন বলেন, "স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে শুধুমাত্র একটাই অসুবিধা ছিল, বাইরে চিকিৎসায় পরিষেবা পাওয়া যেত। কিন্তু এখন সেই সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে দিল্লির এইমস ও ভেলোরেও।" মন্ত্রী বলেন, "স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নথিভুক্ত হয় বাড়ির মহিলার নামে।" এক্ষেত্রে কার্ডের প্রধান মহিলাকে করার মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন এবং সন্মান জানানো হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।