নাম না করে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তহাদুল মুসলিমিন (AIMIM বা মিম) প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি (Asauddin Owaisi)-কে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি (Siddiqullah Chowdhury)। রবিবার তিনি বলেন, হায়দ্রাবাদের নেতা বিজেপি (BJP)-র লক্ষী। বিজেপির রিমোটে পুতুলের মতো নাচবেন তাঁরা। এদিন মেদিনীপুরে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাতে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির এই মন্তব্য করেন।
এদিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মেদিনীপুর শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ৷ সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন শহরের গান্ধী স্ট্যাচু সংলগ্ন এলাকায়৷ সভায় মুখ্য বক্তা ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি (Siddiqullah Chowdhury)।
সভা থেকে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী অবরোধের ডাক দিয়েছেন এদিন ৷ সেইসঙ্গে মিম ও বিজেপি বিষয়ে সকলকে সতর্ক করেন। নাম না করে কটাক্ষও করেছেন মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসিকে৷ মিম প্রধানকে বিজেপির লক্ষী বলেও মন্তব্য করেন তিনি ৷
তিনি বলেন, "বাংলার মাটি ওই সমস্ত আগাছাদের মাটি নয়। ওদের ভোট দিলে নিরাপত্তা কে দেবে? উড়ন্ত পাখিকে ভোট দেওয়ার থেকে বাসা বাঁধা পাখিকে ভোট দেওয়া ভাল। যাঁরা পঞ্চায়েত জেতার ক্ষমতা রাখে না, তাঁরা বিধানসভায় জেতার স্বপ্ন দেখে।
তিনি মিম-এর সমালোচনা করে বলেন, তাদের রিমোট বিজেপির কাছে। যেমন নাচাবে, পুতুল নাচ তেমন নাচতে হবে। যে সমস্ত সাহেব বলছেন লড়ব, আমি নিজে একজন মওলানা, একজন ইমাম কতো উপার্জন করেন? একজন বিধানসভার প্রার্থীর পেছনে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা খরচ ৷ এই টাকা কে দেবে?
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি (Siddiqullah Chowdhury)-র দাবি, কারখানা বা ব্যবসা তো নেই তাঁর৷ অথচ বলছেন টাকার কোনও অভাব নেই। বিজেপির বড় নেতারা বলছেন, হায়দ্রাবাদের নেতা আমাদের জন্য লক্ষী! বিহারে আমরা লক্ষীকে সঙ্গে পেয়েছি৷ পশ্চিমবঙ্গেও ওই লক্ষী আমাদের সাহায্য করবেন ৷ এটা বিজেপি বলছেন ৷ এরপর আর কিছু বলার দরকার নেই। মানুষের চোখ কান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা বলব মেদিনীপুরে কেউ যদি স্বপ্ন দেখেন, এখানে ৩৫ টা আসন পাব, তা হলে ভুলে যান। মনে রাখবেন এটা বিপ্লবের মাটি ৷