এক তৃণমূল (TMC) কর্মীর গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার রায়গঞ্জ (Raiganj) থেকে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি জড়িত। বিজেপি (BJP) সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁর পরিবারের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত সকালে গ্রামের মেঠো রাস্তার ধারে ঝোপে এক ব্যাক্তির গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জে। বুধবার রায়গঞ্জের ৩ নম্বর মহীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজা গ্রামের ঝুমঝুমিয়া ঝুপড়িকালী এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম মহম্মদ আলি (৫৫)। বাড়ি রায়গঞ্জের শীতগ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণমুড়ি গ্রামে।
তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন। আবার ওই ব্যাক্তি তৃণমুল কর্মী বলে পাল্টা দাবি করে শাসক শিবিরের অভিযোগের তীর বিরোধীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে খবর, এদিন সকালে জমিতে কাজ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ মৃতদেহটি দেখতে পান। এরপর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। এদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে টাকা পয়সা নিয়ে তার ভাইপো সেকেন্দারের সঙ্গে বচসা চলছিল। তার জেরেই এই খুনের ঘটনা বলে অভিযোগ মৃতের মেয়ে মামনী খাতুনের।
এদিকে, মৃত ওই ব্যাক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী। আর তাই এই খুনের পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তোলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।
তবে এই খুনের ঘটনায় রীতিমত রহস্য ঘনীভুত হয়। ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ দিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্ত সেকেন্দার আলিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পাশাপাশি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন। কী হয়েছিল, তা জানার তেষ্টা করা হচ্ছে।