মিটিং, মিছিল, জনসভা, রোড শো-র মধ্যে দিয়ে চলল রাজ্যের ৮ দফার নির্বাচন। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে দীর্ঘ একটা সময় ব্যাপক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটল বিভিন্ন দলের প্রার্থী এবং নেতা কর্মীদের। এবার ফলাফলের অপেক্ষা। আগামী ২ তারিখ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। পরবর্তী ৫ বছর বাংলার মসনদে কারা বসছেন তা সেই দিনই নির্ধারিত হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে এখন সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন সমস্ত প্রার্থী এবং নেতানেত্রীরা। কিন্তু ভোট হয়ে যাওয়ার পর থেকে ফলাফলের দিন পর্যন্ত, মাঝের এই সময়টা কীভাবে কাটাচ্ছেন তাঁরা? একটানা নির্বাচনী ব্যস্ততার পরে কি সাময়িক বিশ্রাম, নাকি আবারও জনগণের কাজেই ফিরে যাওয়া?
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা সপ্তগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী তপন দাশগুপ্ত (Tapan Dasgupta) জানালেন, ভোট হয়ে গেলেও প্রতিদিনই সকাল থেকে নিজের বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন তিনি। মাস্ক বিতরণ করছেন, এবং মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতন করছেন। এই মুহূর্তে এটাই প্রধান কাজ বলে মনে করছেন তপনবাবু। একইসঙ্গে এলাকায় কারও বিপদ আপদ হলে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে জানালেন সপ্তগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী। অন্যদিকে রাজারহাট গোপালপুর কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী তথা গেরুয়া শিবিরের অন্যতম শীর্ষ নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) কার্যত জানালেন, নির্বাচনী ব্যস্ততা শেষ হতে না হতেই চলে এসেছে কোভিড সংক্রান্ত ব্যস্ততা। এক্ষেত্রে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করানো, ওষুধ জোগার করার মতো কাজগুলি প্রতিদিনই করে যেতে হচ্ছে তাঁকে।
প্রায় একই ধরনের কথা শোনা গেল বাম - কংগ্রেসের মুখেও। শিলিগুড়ির সিপিআইএম (CPIM) প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya) জানালেন, করোনা নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। রোগীদের খবর নেওয়া, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো, অক্সিজেন জোগার করা, কারও মৃত্যু হলে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা, অর্থাৎ যাঁর যেখানে যা প্রয়োজন সেই মতো কাজ করা হচ্ছে। অশোকবাবুর কথায়, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও বিশ্রামের কোনও অবকাশই নেই। পাশাপাশি চাঁপদানি বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী আবদুল মান্নান (Abdul Mannan) জানালেন, রোজকারের মতোই কাজ করতে হচ্ছে। নিজের অফিসে বসছেন, কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করাচ্ছেন। এককথায় ভোট হয়ে গেলেও তিনি মানুষের সঙ্গেই রয়েছেন বলে জানালেন আবদুল মান্নান।