আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রথম দফায় লড়াইয়ের ময়দানে যেমন রয়েছেন দাপুটে রাজনৈতিক নেতারা, তেমনই রয়েছে তারকারাও। নিজের মতো করে ভোটারদের মন জয় ও আশীর্বাদ পাওয়ার চেষ্টা করছেন প্রত্যেক প্রার্থীই। তারমধ্যেও প্রথম দফার ভোটে বিশেষ নজর থাকছে যে সমস্ত প্রার্থীর দিকে তাঁরা হলেন-
অখিল গিরি - পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর কেন্দ্র থেকে এবারেও তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করছেন অখিল গিরি। জেলা তথা তথা রাজ্য রাজনীতি বরাবরই অধিকারী পরিবারের বিরোধী বলে পরিচিত তিনি। এতদিন একদলে থাকা সত্ত্বেও মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে এই দুই শিবিরের বিবাদ। আর এবার তো অধিকারী পরিবারের প্রধান দুই যোদ্ধা অখিলের বিরোধী দলে। যদিও রামনগর কেন্দ্রে অবশ্য অখিলের বিরুদ্ধে অধিকারী পরিবারের কেউ লড়ছেন না। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের লড়াইতে রামনগর কেন্দ্র ও অখিল গিরির দিকে যে রাজনৈতিক মহলের নজর থাকবে সে কথা বলাই বাহুল্য।
জুন মালিয়া - কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েই মেদিনীপুর আসনে টিকিট পেয়েছেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া। রাজনীতিতে নবাগতা হলেও ইতিমধ্যেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন তিনি। কখনও ভোটারের বাড়িতে ঢুকে রান্নায় হাত লাগাচ্ছেন তো কখনও আবার হরিনাম সংকীর্তনে নাচতে দেখা যাচ্ছে প্রার্থীকে।
শান্তিরাম মাহাত - পুরুলিয়ার বলরামপুর কেন্দ্র থেকে আবারও তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন শান্তিরাম মাহাত। এর আগে রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। খুব স্বাভাবিকভাবেই নজর থাকবে ওই কেন্দ্রেও।
বীরবাহা হাঁসদা - তৃণমূলে যোগ দিয়েই টিকিট পেলেন সাঁওতালি ছবির অভিনেত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁকে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে ঘাসফুল শিবির।
জ্যোৎস্না মান্ডি - বাঁকুড়ার রানিবাঁধ কেন্দ্র থেকে এবারেও তৃণমূল প্রার্থী জ্যোৎস্না মান্ডি। ২০১৬ সালে সিপিআইএম নেত্রী দেবলীনা হেমব্রমকে পরাজিত করে বিধায়ক হন জ্যোৎস্না।
সুশান্ত ঘোষ - শালবনী কেন্দ্রে সুশান্ত ঘোষের ওপরেই ভরসা রেখেছে সিপিআইএম নেতৃত্ব। একসময় তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছিল দলবিরোধী কাজের অভিযোগ। নাম জড়িয়েছে বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে। যেতে হয়েছে জেলেও। পরে জামিন পেলেও এলাকার ঢোকার অনুপতি পাননি। অবশেষে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। ফেরেন নিজের গড় গড়বেতায়। এহেন সুশান্ত ঘোষের কেন্দ্রের দিকে নজর তো থাকবেই।
মধুজা সেন রায় - সিপিআইএম-এর টিকিটে এবার ঝাড়গ্রাম আসন থেকে লড়াই করছেন মধুজা সেন রায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জ কেন্দ্রে অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত জয়ী না হলেও প্রতিপক্ষকে মধুজা যে কড়া টক্কর দিয়েছিলেন সে কথা স্বীকার করে নেয় রাজনৈতিক মহল।
নেপাল মাহাত - পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি কেন্দ্রে এবারেও নেপাল মাহাতর ওপরেই ভরসা রেখেছে কংগ্রেস। গতবারেও এই আসনটিতে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন নেপাল। তবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে কিন্তু এখানে কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় বিজেপি।
চন্দনা বাউড়ি - রাজনীতির ময়দানে বেশিদিন নয়। তবে অল্প সময়েই নিজের যোগ্যতায় বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক হয়েছেন তিনি। সেই চন্দনা বাউড়িকেই এবার বাঁকুড়ার শালতোড়া কেন্দ্রে দলের প্রার্থী করেছে বিজেপি। সংসারের খরচ টানতে মাঝে মাঝে স্বামীর সঙ্গে দিনমজুরিও করতে হয় তাঁকে। এহেন প্রার্থীর দিকে নজর থাকছে সকলেরই।
সুখময় সৎপতি - ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে সুখময় সৎপতিক প্রার্থী করেছে বিজেপি। দুবার জেলা সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। প্রথম দফার নির্বাচনে নজর থাকছে তাঁর দিকেও।