রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন। সামনে তৃতীয় দফা (Third Phase Polling)। তার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রচার ও প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন প্রতিটি দলের প্রার্থীরা। গত দুই দফার মতো এই পর্বেও প্রার্থীদের খুঁটিনাটি তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট পেশ প্রকাশ করেছে অ্য়াসোসিয়েশান ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর (ADR) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশান ওয়াচ। সেই রিপোর্ট বলছে, তৃতীয় দফার নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন মোট ২০৫ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন, অর্থাৎ মোট প্রার্থীর ২৬ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। আর ৪৩ জন অর্থাৎ ২১ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা।
যদি প্রথম দুই দফার দিকে নজর রাখা যায় তাহলে দেখা যাবে, প্রথম দফার নির্বাচেন প্রার্থী ছিলেন মোট ১৯১ জন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ জন অর্থাৎ ২৫ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা এবং ৪২ জন অর্থাৎ ২২ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফায় মোট প্রার্থী ছিলেন ১৭১ জন। তাঁদের মধ্যে ৪৩ জন অর্থাৎ ২৫ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা এবং ৩৬ জন অর্থাৎ ২১ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা।
এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী যেগুলিকে গুরুতর ফৌজদারি মামলা বলা হচ্ছে সেগুলি হল-
১. যে আপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর বা তার বেশি
২. যদি কোনও অপরাধ জামিন অযোগ্য হয়
৩. যদি এটি নির্বাচনী সংক্রান্ত অপরাধ হয় (যেমন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১ ই বা ঘুষ)
৪. রাজস্বের ক্ষতি সম্পর্কিত অপরাধ
৫. হামলা, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ সম্পর্কিত অপরাধ
৬. জন প্রতিনিধিত্ব আইনে (ধারা ৮) উল্লিখিত অপরাধসমূহ
৭. দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে অপরাধসমূহ
৮. মহিলাদের বিরুদ্ধে করা অপরাধ
প্রসঙ্গত ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফার নির্বাচনে রাজ্যের ৩ জেলার মোট ৩১ আসনে হতে চলেছে নির্বাচন। তারমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬টি, হাওড়ার ৭টি এবং হুগলির ৮টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। বাংলা ছাড়াও সেদিন তৃতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন হতে চলেছে অসমে। পাশাপাশি নির্বাচন রয়েছে পুরুচেরি, তামিলনাডু ও কেরলেও।