scorecardresearch
 

তৃণমূলের প্রার্থীই BJPতে, হাতছাড়া জেলা পরিষদ! মালদা ঘিরে 'অশনি সংকেত' শাসকদলে?

রাজ্য রাজনীতিতে বেনজির ঘটনা সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী। সোমবার যাবতীয় জল্পনা অবসান মালদার হাবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সরলা মুর্মু বিজেপিতে যোগ দেন। ভোটে ফল ঘোষণার পরে দলবদলের ঘটনা হামেশাই হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে খোদ প্রার্থী যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে! এমন ঘটনা কেউ মনে করতে পারছেন না। সেই সঙ্গে ওই নেত্রীর দাবি, এলাকায় অধিকাংশ তৃণমূল নেতা এখন বিজেপিতে।

Advertisement
শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • তৃণমূল প্রার্থীই বিজেপিতে
  • হাতছাড়া জেলা পরিষদ
  • মালদা ঘিরে বিপত্তি বাড়ছে শাসকদলে

রাজ্য রাজনীতিতে বেনজির ঘটনা সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী। সোমবার যাবতীয় জল্পনা অবসান মালদার হাবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সরলা মুর্মু বিজেপিতে যোগ দেন। ভোটে ফল ঘোষণার পরে দলবদলের ঘটনা হামেশাই হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে খোদ প্রার্থী যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে! এমন ঘটনা কেউ মনে করতে পারছেন না। সেই সঙ্গে ওই নেত্রীর দাবি, এলাকায় অধিকাংশ তৃণমূল নেতা এখন বিজেপিতে। তাই তিনি কার ভরসায় তৃণমূলের হয়ে লড়বেন? ফলে বিজেপিতে যোগদান। ফলে মালদা নিয়ে শাসকদল চিন্তা যে ক্রমশ বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য।

একাধিক নেতার দলত্যাগ

উল্লেখযোগ্য ভাবে সোমবার মালদা জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতাও বিজেপির হাতে এসেছে। তৃণমূলের ১৪ জেলা পরিষদ সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অন্তত এমনটাই দাবি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ফলে নির্বাচনের আগেই সীমান্তবর্তী এই জেলা ঘিরে ক্রমশ চাপ বাড়ছে শাসকদলে। এমনিতে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে সমস্যা ছিল আগেই। তারপর একের পর এক নেতার দলত্যাগ সঙ্গে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি যে তৃণমূলকে চিন্তায় ফেলতেই পারে।

আরও পড়ুন, BJP-র দখলে মালদা জেলা পরিষদ, ১৪ সদস্যের দলবদল, দাবি শুভেন্দুর

২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে মালদা উত্তরে জেতে বিজেপি ও দক্ষিণে জেতে কংগ্রেস। তৃণমূল কার্যত উত্তরবঙ্গ থেকেই খালি হাতে ফেরে। লোকসভা ভোটের নিরিখে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলে মালদার দুটি বিধানসভায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল। তার মধ্যে অন্যতম অবশ্যই রতুয়া। সেই রতুয়ার দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ ইয়াসিন ফেব্রুয়ারি মাসেই ১৩ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি।

শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি

মালদায় বর্তমানে অনেকটাই শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এখানে লড়াইটা মূল হবে জোটের সঙ্গে বিজেপির। তৃণমূল যেখানে শক্তিশালী সেখানে ঘনঘন নেতাদের দলত্যাগের ক্রমশ চাপে পড়ছে তারা। কেউ কেউ বলছেন, স্বয়ং প্রার্থীই ভোটের আগে দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে কেমন অবস্থা সেখানে। 

চিন্তা বাড়ছে শাসকদলে

Advertisement

একসময়ে কংগ্রেসের গড়ে ক্রমশ ধীরে ধীরে শক্তি বাড়ায় তৃণমূল। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান একাধিক নেতা। মৌসম বেনজির নুরও কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছেন। তবে মালদায় দলবদলের মূল কারিগর ছিলেন শুভেন্দু। সেই শুভেন্দু এখন নিজেই বিজেপিতে। ফলে দলবদলের পাল্টা ঢেউ শুরু হওয়ায় ক্রমশ চাপ বাড়ছে শাসকদলের উপরে। বিধানসভা ভোটের কয়েকদিন আগে মালদার এমন দলত্যাগ যে শাসকদলের বিড়ম্বনা বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement