নির্বাচনের মুখে তৃণমূলের বড় ভাঙণ। একদিনে ৪ বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে। সেইসঙ্গে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তৃণমূলের সবথেকে বড় ভাঙণ দেখা গিয়েছে মালদা জেলাতে। এদিন মালদা জেলা পরিষদের ১৪ জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই যোগদানের ফলে মালদা জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করেছে। এই জেলা পরিষদের ৩৮ আসনের ২৩ টি এখন বিজেপির দখলে। আজ মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল সহ মোট ১৪ জন যোগ দিলেন বিজেপিতে। বর্তমানে এই জেলা পরিষদের ৬ জন বিজেপির নির্বাচিত সদস্য রয়েছেন। কিছুদিন আগেই দুজন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। ফলে বর্তমানে এই জেলা পরিষদে ২৩ টি আসনের ম্যাজিক ফিগার এখন বিজেপির হাতে।
মালদা জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি
এদিন ঘাসফুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ ৪ বিধায়কের। এদিন বিজেপিতে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, জটু লাহিড়ী, সরলা মুর্মু ও সোনালি গুহ। মমতা ঘনিষ্ঠ সোনালি গুহ টিকিট না পাওয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে নজিরবিহীন ভাবে এবার খোদ তৃণমূল প্রার্থী যোগ দিলেন বিজেপিতে। এবারের হাবিবপুর কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছিলেন সরলা মুর্মুকে। কিন্তু গতকাল রাতেই বেঁকে বসেন। অনুগামীদের নিয়ে তিনি চলে আসেন কলকাতাতেই। এদিন তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন। তবে এদিন সকালে হাবিবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে দেয় তৃণমূল।
আরও পড়ুন, তৃণমূলে বড় ভাঙণ! বিজেপিতে সোনালি গুহ, রবীন্দ্রনাথ, সরলা, দীপেন্দু বিশ্বাস
৪ বিধায়কের দলবদল
সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে এবার প্রার্থী করেন দল। তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এদিন ছেলেকে নিয়ে তিনি বিজেপিতে সামিল হন। বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসকে প্রার্থী না করাতে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন তিনিও বিজেপিতে যোগ দেন। প্রার্থী হিসাবে নাম না ঘোষণা হতেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ী। আগেই বলে দিয়েছিলেন তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন। এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে দলবদল করেন। অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীও এদিন বিজেপিতে সামিল হন।