পশ্চিম মেদিনীপুরের মকরামপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর ৷ মৃতের নাম সৌভিক দোলই। বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন আরও ৩ তৃণমূল কর্মী। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৷ ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।
ঠিক কী হয়েছিল
মঙ্গলবার রাত১০ টা নাগাদ মকরামপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে,রাস্তার পাশে বসে থাকা চারজন তৃণমূলের কর্মীর উপরে হঠাৎ আক্রমণ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী সৌভিক দোলই। ঘটনাস্থলে এলোপাথাড়ির বোমাও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন ৩ তৃণমূলকর্মী। এর পরেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়দের তৎপরতায় তৃণমূলকর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা সৌরভকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি ৩ তৃণমূল কর্মী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন, পঞ্জাবের বিপরীতে হাঁটল গুজরাত, মোদীর রাজ্যে পুরভোটে অব্যাহত BJP-র ক্লিন সুইপ
বিজেপির দিকে আঙুল তৃণমূলের
ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, আমরা ওই এলাকাতে ভালো ফল করেছিলাম ৷ আমাদের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আটকাতেই পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা হয়েছে ৷ এই কাজ বিজেপির ৷ আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে ৷
পাল্টা দাবি বিজেপির
তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস ৷ তিনি বলেন, নারায়নগড় বিধানসভার মকরামপুরে আজকে গুলি চলেছে ৷ এটা পুরোপুরি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল ৷ এতোদিন ধরে যারা কারখানা থেকে তোলা তুলছিল, সেখানে লক্ষী শীট নামে অন্য একজনকে দায়িত্ব দিতে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে ৷ সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফসল হচ্ছে আজকের এই খুন ৷ আমি পুরোটা জানিনা,কয়েকজন আহত হয়েছে হাসপাতালে এসেছেন, গুলিও চলেছে ৷ প্রশাসনের কাছে জানতে চাই দুষ্কৃতীরা এতো সাহস পায় কি করে ৷ কিভাবে গুলি বোমা নিয়ে ঘোরে ৷ পুলিশ শুধু দর্শক হওয়া ছাড়া নারায়নগড়ে কোনো ভুমিকা পালন করছে না ৷