scorecardresearch
 

মোর্চার মতো দুই ভাগ তৃণমূল! পাহাড়ে নয়া সমীকরণ

ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই নতুন নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে পাহাড়ে। এদিন পাহাড়ের যুব তৃণমূল সমর্থনের ঘোষণা করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাং শিবিরকে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে তিনটি আসনেই প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্য আসনগুলি ছেড়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু বিনয় তামাং বনাম বিমল গুরুং গোষ্ঠীর পাহাড়ে আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছে। ফলে দ্বিধায় পড়েছে।

Advertisement
পাহাড়ে নয়া অঙ্ক পাহাড়ে নয়া অঙ্ক
হাইলাইটস
  • গোর্খার মতো দুই ভাগ তৃণমূল
  • পাহাড়ে নয়া সমীকরণ
  • দুই ভাগ হয়ে দুই শিবিরকে সমর্থন

ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই নতুন নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে পাহাড়ে। এদিন পাহাড়ের যুব তৃণমূল সমর্থনের ঘোষণা করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাং শিবিরকে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে তিনটি আসনেই প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্য আসনগুলি ছেড়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু বিনয় তামাং বনাম বিমল গুরুং গোষ্ঠীর পাহাড়ে আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছে। ফলে দ্বিধায় পড়েছে। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছিল, পাহাড়ে কোন দিকে যেতে পারে ঘাসফুল শিবির।  এদিন যুব তৃণমূলের ঘোষণায় জটিলতা আরও বাড়ল।

পাহাড়ে নয়া সমীকরণ

এক সপ্তাহ আগেই পাহাড়ে তৃণমূলের সভাপতি এলবি রাই ও রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী ঘোষণা করেন বিধানসভা নির্বাচন তারা বিমল গুরুং শিবিরকে সমর্থন দেবেন। তার ৭ দিনের মধ্যে এদিন যুব তৃণমূল নেতারা ঘোষণা করলেন পাহাড়ে তারা বিনয় তামাং শিবিরকে সমর্থন দেবেন। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মতো তৃণমূলের এই দুই অবস্থানকে ঘিরে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। এর আগে পাহাড়ে নির্দল হিসাবে লড়ার কথা বলেছিল যুব তৃণমূল। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে তারা। 

আরও পড়ুন, কবে মিটবে বেকারত্ব? একুশের ভোটে একটাই প্রশ্ন পাহাড়ের

বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই শিবির আলাদা করে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেই মতো জোরকদমে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। এবার দেখা যাচ্ছে তৃণমূলও কার্যত দুই  ভাগ হয়ে দুই শিবিরকে সমর্থন দিচ্ছে। অন্যদিকে জিএনএলএফ সমর্থনে পাহাড়ে প্রচার চালাচ্ছে তিন বিজেপি প্রার্থী। আগামী ১৭ এপ্রিল পাহাড়ে ৩ কেন্দ্রে নির্বাচন। 

নয়া জল্পনা

এর আগে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বিমল গুরুং শিবির ছিল বিজেপির পক্ষে। তবে গত বছরের শেষের দিকে আচমকা হাজির হন বিমল গুরুং। বিজেপির হাত ছেড়ে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। তারপরেই বদলে যায় পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ। বিমল গুরুংয়ের এই আবির্ভাব মেনে নিতে পারেনি বিনয় তামাং শিবির। ফলে বিধানসভা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই শিবিরই আলাদা আলাদা করে প্রার্থী ঘোষণা করে রেখেছে। 

Advertisement

Advertisement