scorecardresearch
 

West Bengal Election 2021 : IIMC-র প্রাক্তন অধ্যাপকের নেই পেনশন! পটাশপুরে পরিসংখ্যান বদলাতে BJP-র বাজি অম্বুজ

২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়া হয়নি। তাঁর অবশ্য কলকাতায় দাঁড়ানোর ইচ্ছে ছিল। আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে।

Advertisement
পটাশপুরের বিজেপি প্রার্থী অধ্যাপক অম্বুজ (ওরফে অম্বুজাক্ষ) মহান্তি পটাশপুরের বিজেপি প্রার্থী অধ্যাপক অম্বুজ (ওরফে অম্বুজাক্ষ) মহান্তি
হাইলাইটস
  • পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বিজেপি প্রার্থী অধ্যাপক অম্বুজ (ওরফে অম্বুজাক্ষ) মহান্তি
  • এর আগেও ভোটে দাঁড়িয়েছেন
  • সেটা লোকসভার উপনির্বাচন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় যাবেন। তুমুল ব্যস্ততা। তার আগে এক দফা কথা হল। অধ্যাপনার পর কেন রাজনীতির আঙিনায়, তা বোঝানোর চেষ্টা করলেন সংক্ষিপ্ত সময়ে।

তিনি পূর্ব মেদিনীপুর পটাশপুরের বিজেপি প্রার্থী অধ্যাপক অম্বুজ (ওরফে অম্বুজাক্ষ) মহান্তি। এর আগেও ভোটে দাঁড়িয়েছেন। সেটা লোকসভার উপনির্বাচন। তখন অবশ্য আইআইএম জোকায় পড়াচ্ছেন। এবার অবশ্য অন্য ছবি। তিনি সেখান থেকে অবসর নিয়েছেন।

২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়া হয়নি। তাঁর অবশ্য কলকাতায় দাঁড়ানোর ইচ্ছে ছিল। তাঁর আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। বেশ বর্ধিষ্ণু পরিবার। পারিবারিক জমিজমার একাংশ এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগিয়েছেন বলে দাবি করলেন তিনি।

অম্বুজবাবু বলেন, সরকারি ভাবে ২০১৪ সালে ২ মার্চ বিজেপিতে যোগ দিই। আইআইএম জোকা ভোটে লড়ার থেকে ছাড়পত্র পাইনি। তাই ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে লড়তে পারিনি। দেরি হয়ে গিয়েছে।
 
তিনি জানান, ২০১৬ সালের লোকসভা উপনির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম।  তখন অবশ্য অসুবিধা হয়নি। কারণ ততদিনে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বোঝাতে পেরেছিলাম চাকরিতে থেকেও ভোটে লড়া যায়।

প্রথম দফার ভোট প্রার্থীদের মধ্যে আপনি  তো সবথেকে বেশি বিত্তবান? তিনি জানান, কোনও কিছুই তো লুকোয়নি। যা আছে, তা-ই দেখিয়েছি। তবে অবসরের পর পেনশন এখনও চালু হয়নি। এই অবস্থা শুধু আমার নয়। সেখানকার ২৮ জন অধ্যাপক এবং ১৮৫ জন কর্মীর একই হাল অবস্থা। আউনি পথে লড়াই চলছে।

কেন বিজেপিতে যোগ? তিনি জানান, বিজেপি একমাত্র দল যাদের লক্ষ্য ভারত। ভারতকে বাঁচাতে গেলে বিজেপি দরকার। তাঁর অভিযোগ, এখন তো ধর্মনিরপেক্ষতা করতে গিয়ে তোষণ শুরু হয়েছে। তোষণ করার জন্য ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যবহার করা হয়। ভোট কেনার জন্য ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যবহার করা হয়। আর হিন্দুদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখা হয়। 

Advertisement

প্রচারে বেরিয়ে সাড়া মিলছে বেশ, দাবি তাঁর। তবে অন্য আশঙ্কাও রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য অর্থ ছড়ানো হচ্ছে। তিনি প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক, মন্ত্রী কামাক্ষানন্দন দাস মহাপাত্র প্যাডের কাগজ চুরি করে কিছু করেছেন এবং তা অপব্যবহার করেছেন বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। এবং এর জেরে কামাক্ষ্যবাবু মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন বলেও প্রচার চলছে। যা মোটেই ঠিক নয়। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তিনি তখন বিদেশে পড়াচ্ছেন।

তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্য়ান নিয়ে লেখাপড়া করেছেন। অপারেশনাল রিসার্চ মাস্টার্স, আইএসআই থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়েছেন। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়েই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি। ১৯৮১ সালে যোগ দেন আইআইএম জোকা। সেখানে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছেন।

পটাশপুরে মোছুবার গ্রাম বসতবাড়ি। জানালেন, সামনের অংশ রাসমঞ্চের জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে তৈরি করা হয়েছে শীতলা মন্দির, ক্লাব, স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ছেলেমেয়েদের জন্য তৈরি করা হয়েছে খেলার মাঠ। এগুলি সবই তাঁদের জমিজমার অংশ, দাবি করলেন তিনি।

 

Advertisement