নববর্ষের দুপুরে বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। নির্বাচনী প্রচারে কোনও জনসভা নয়, আজ কলকাতার রাস্তায় মিছিল করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর পাশে দেখা গেল সমাজবাদী পার্টির নেত্রী জয়া বচ্চনকে।
আজ, কোনও জনসভা ছিল না তৃণমূল নেত্রীর। তবে পয়লা বৈশাখের দিনটিকে নষ্ট না করে উত্তর কলকাতার ৪ বিধানসভা এলাকা ধরে মিছিল করেন মমতা। হুইল চেয়ারেই দেখা যায় তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন জয়া বচ্চন-সহ ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ও কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। তবে জয়া বচ্চন বেশ কিছুক্ষণ পরে মিছিল থেকে চলে যান। বেলেঘাটা গান্ধিভবন থেকে এই মিছিল শুরু হয়, শেষ হওয়ার কথা জোড়াসাঁকোতে।
বেলেঘাটায় মিছিল শুরুর সময় বক্তব্য রাখার কথা থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখেননি। শোনা যাচ্ছে, মিছিল শেষে বক্তব্য় রাখতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। তবে এনিয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
তবে একাধিক জায়গায় মিছিলের গতি শ্লথ করতে হয়। কোনও কোনও জায়গায় মিছিল থেমেও যায় সাময়িক সময়ের জন্য। কারণ, ভিড়। রাস্তার দুপাশে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক মমতাকে দেখতে জড়ো হন। হুইলচেয়ারে বসেই একাধিক বার মাস্ক বদলাতে দেখা যায় মমতাকে। কোভিড রীতি মেনে মিছিলে পা মেলান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে মিছিলের জেরে কলকাতায় সাময়িকভাবে যানজট দেখা যায়। তবে আগে থেকে প্রস্তুত ছিল কলকাতা পুলিশও। তাদের তরফে পথযাত্রীদের অন্য রাস্তা ধরিয়ে দেওয়া হয়।
গন্তব্যস্থানের কাছাকাছি আসতেই জয়া বচ্চন ফের সেই রোড শোতে যোগ দেন। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর বাড়ির কাছে কিছুক্ষণ মিছিল থামে। সেখানে হুইলচেয়ারে বসেই মাইক হাতে বক্তব্য রাখেন মমতা। উত্তর কলকাতার প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও আবেগের কথা শোনান।
আজকের মিছিল থেকে খেলা হবে স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মিছিল থেকে সবাইকে অভিনন্দন জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, 'আপনাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আপনারা আমাদের সাহায্য করেছেন এতদিন। চৌরঙ্গি কেন্দ্র থেকে নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতান। এই আমাদের আর্জি।'
জয়া বচ্চন বলেন, 'আমি আপনাদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাংলার পরিবর্তনের দরকার নেই। মমতা গত ১০ বছর বাংলার উন্নতি করেছেন আরও করবেন। খেলা হবেই। মমতাকেই ভোট দিন।'