এই জেলা বামেদের জন্য আগের মতো কঠিন নয়। দলবদল দেখে মানুষ বিরক্ত। আর ভোটে হয় তো বামেরা জেতেনি। কিন্তু শতাংশের বিচারে অনেক জেলার থেকে এগিয়ে।
জেলার নামে পূর্ব মেদিনীপুর। আর কেন্দ্রের নাম পটাশপুর। এমনই মনে করেন সেখানতকার সংযুক্ত মোর্চার সিপিআই প্রার্থী সৈকত গিরি। তাঁর উপলব্ধি, ভোটের ফলাফ কী হবে, সে তো সময়ই বলবে। তবে মানুষ দলবদলের রাজনীতি দেখে ক্লান্ত। মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না বিষয়টি।
এই জেলা অধিকারী গড় নামে পরিচিত। সেই গড়ের 'অধীশ্বর' শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। এটা মানুষ ভাল ভাবে নেননি। সে কথাই যেন বলতে চাইলেন তিনি।
সৈকত জানান, এই জেলার জমি উদ্ধারের আপ্রাণ প্রয়াস চালানো হচ্ছে। লড়াই কঠিন বা সহজ বলে কোনও ব্য়াপার নয়। প্রধান লক্ষ্য নিজেদের ভোট ধরে রাখা। যা ২০১৯ সালে চলে গিয়েছিল।
কোন সূত্রে তিনি ভাল ফলের আশা দেখছেন? দল পাল্টানো ছাড়াও তাঁর কাছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর পার্টি অফিস খুলতে পারা। তবে অন্তরায়ও রয়েছে। নব্য বিজেপিরা তৃণমূলের মতোই গোলমাল পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।
সিপিআই রাজ্য কমিটির সদস্য সৈকতের দাবি, পূর্ব মেদিনীপুর বামেদের জন্য নয় মোটেই কঠিন নয়। ২০১৬ সালের বিধানসভা তুলনামূলক ভাল ফল হয়েছে। ২০১৯ সালের শতাংশের বিচারেও অন্য জেলার থেকে ভাল এই জেলা।
গত ১০-১১ বছর যা হয়নি, এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে। আগে যেখানে মিটিং করা যেত না, সেখানে করা যাচ্ছে। পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার হয়েছে। সেখানেও মিটিং করা যাচ্ছে। জানাচ্ছেন তিনি।
সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠন এআইএসএফের রাজ্য সম্পাদক তিনি। ইংরেজি, শিক্ষা নিয়ে স্নাতকোত্তর নিয়ে লেখাপড়া করেছেন। মানে ডবল এমএ! সিপিআই নেতা, জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার তাঁর বন্ধু। এসেছিলেন তাঁর প্রচারে।
সৈকতের অভিযোগ, তৃণমূলের চোরেরা চলে গিয়েছে বিজেপিতে। আর বিজেপি একই ভাবে বিরক্ত করছে। এর মাঝে লড়াইয়ে ভরসা মিলছে কোথা থেকে? এছাড়া ভোটে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতাও তো নেই?সৈকত জানালেন, আশপাশের একঝাঁক তরুণতরুণী নেমে পড়েছেন মাঠে। তাঁদের পরিবার বামেদের সমর্থক ছিলেন। তবে গত ১০ বছরে তাঁরা রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন। কিন্তু একের পর এক দুর্নীতি দেখে তারা বিরক্ত।