শুক্রবার দুপুরেই রাজ্যসভায় পদত্যাগ করেছেন দীনেশ ত্রিবেদী। তারপর থেকেই বিজেপিতে যোগের জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে, শনিবারই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বর্ষীয়ান নেতা। তৃণমূলের সঙ্গে দীনেশ ত্রিবেদীর সংঘাত আজকের নয়। সূত্রপাত ২০১১ সালে, মমতার সরকারে রেলমন্ত্রী হওয়ার পর ট্রেনের টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রোষানলে পড়েছিলেন তিনি।
পদত্যাগ করার পরেই একের পর এক বিতর্কিত কথা বলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নিয়েও তোপ দাগেন দীনেশ। বলেন, দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে আর নেই। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একার হাতে দল চালাতেন, তখন ভাল ছিল। যখন থেকে কর্পোরেট কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হল, তখন থেকেই নানা সমস্যা শুরু হয়। বর্তমানে দলে একগুচ্ছ ইনসিকিওরড লোকে ভরে গিয়েছে। সারাক্ষণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কান ভাঙাচ্ছে। আমি আর এসব নিতে পারছিলাম না। তাই দল ছাড়তে বাধ্য হলাম।
এই বলেই থেমে থাকেননি প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। তিনি জানান, যাদের হাত ধরে দল গঠন হয়েছিল তাঁরাই এখন দূরে। পার্টি করা মানেই শুধু ১০-৫টার কাজ নয়। আমি খুব আশঙ্কায় রয়েছি যে দলটি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। এক সময় বদলা নয় বদলের কথা বলে মানুষের মন জয় করেছিল তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার পর বিরোধীদের ক্ষেত্রে এই বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। বাড়িতে রঙের কাজ করতে গেলেও কিছু লোক বাড়িতে চলে আসছে। এরা তৃণমূলের না হলেও এদের বিষয়ে দল জানে।
দল ছাড়ার পর দীনেশ বলেছেন, তাঁর অন্তরাত্মার ডাক। সে কারণেই তৃণমূল ছাড়লেন তিনি। তাহলে কী বিজেপিতে যোগদান কেবল সময়ের অপেক্ষা! কানাঘুষো তেমনই শোনা যাচ্ছে। শনিবারই যোগ দিতে পারেন গেরুয়া শিবিরে। ইন্ডিয়া টুডে-র কনক্লেভে বাবুল সুপ্রিয়, দীনেশ ত্রিবেদীকে সরাসরি বিজেপিতে আহ্বান জানান। বলেন, দিনেশ ত্রিবেদী একজন ভালো অলরাউন্ডার।
জল্পনা দানা বেঁধেছে দীনেশের মন্তব্যে। এদিন তিনি বলেন, ''মোদীজি এবং অমিত ভাই আমার অনেকদিনের বন্ধু। ওদের সঙ্গে বরাবরই আমার সম্পর্ক ভাল। আমায় আলাদা করে আমন্ত্রণ জানাতে হবে না। যাওয়ার হলে এমনিই যেতে পারি। রাজনৈতিক জীবনে কখনও দাড়ি হয় না।''