J P Nadda on Mamata Banerjee Abhishek Banerjee TMC Government : 'পিসি-ভাইপোকেও রোজ আদালতে হাজিরা দিতে হবে,' হুঁশিয়ারি নাড্ডার

 J P Nadda on Mamata Banerjee Abhishek Banerjee TMC Government MGNREGA: আজ পেপারে দেখলাম লালুপ্রসাদ যাদবকে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। ২০ বছর আগে কেউ কল্পনা করতে পারত না। ২০ বছর পরের ছবি বলছি। তখন পিসি ভাইপোও রোজ হাজিরা দেবেন। বুধবার কলকাতায় নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর ভাইপো তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা।

তৃণমূলের প্রবল সমালোচনা
এদিন কলকাতায় এসে তৃণমূলকে বিঁধলেন বিজেপি সভাপতি। এদিন তিনি ন্যাশনাল লাইব্রেরির এক অনুষ্ঠানে বলেন, তৃণমূলকে দেখে নাও। নেতা আছে নীতি নেই। নেতা থাকলে নিয়ত (ইচ্ছা) নেই। খালি খাও, খাও, খাও। কমিশন মিশন। এটাই মিশন। সদিচ্ছা নেই। কর্মীর নাম সিন্ডিকেট। কোনও কর্মী নেই, সিন্ডিকেট।

২০ বছর পর
তিনি বলেন, "লালু বলতেন বিধানও আমি, সংবিধানও আমি। এখন আমিই হাজিরা দিচ্ছি! ২০ বছর আগে কেউ কল্পনা করতে পারত না। ২০ বছর পরের ছবি বলছি।  পিসি ভাইপোও রোজ হাজিরা দেবেন। এই দেশ নিয়মে চলে। কারও ইচ্ছা মতো চলে না। আইনের শাসন চলছে না। শাসকের আইন চলছে। এমনই বলেছে মানবাধিকার কমিশন।"

আরও পড়ুন: বয়স ৫০ বছর পার করেও পাতলা কোমর, মানুন এই ৬ ফর্মুলা

আরও পড়ুন: এগুলো দেশের সেরা টুরিস্ট ডেস্টিনেশন, সারা বছর লেগে থাকে বিদেশিদের ভিড়

আরও পড়ুন: বারাসতে বসু পরিবারের জমিতে মসজিদ, দেখভালের দায়িত্বেও তাঁরা

তিনি আরও বলেন, "নিজেদের শক্তি সম্পর্কে জানা দরকার। ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করি। আজ তাদের সঙ্গে দেখা হলে জিজ্ঞাসা করি, কে ঠিক দলে। আমাদের এখানে কমপ্রিহেনসিভ এবং বাইফোকাল লেন্স রয়েছে। দুটো দিকেই নজর রাখতে হবে। আমাদের দলেই নেতা রয়েছে, নীতি রয়েছে, নিয়ত , কর্মসূচি রয়েছে, কর্মী রয়েছে, একসঙ্গে কাজ করা যায়। সব রিজিওনাল পার্টি পরিবারের পার্টি। পিসি এবং ভাইপোর পার্টি হয়ে গেছে। আমাদের লড়াই কাদের বিরুদ্ধে, সেটাই বুঝতে হবে। সেটাও দেখতে হবে।"

প্রকল্পের নাম বদল
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা হয়ে গেল বাংলা আবাস যোজনা। সঙ্গে ছবি! কেন্দ্রের টাকা আসছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা হয়ে গেল বাংলা গ্রাম সড়ক যোজনা। 

১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়ে পাল্টা
নাড্ডার দাবি, মমতা একশো দিনের কাজের হিসেব দেননি তিন বছর ধরে। একটা কমিটি পাঠিয়েছে, যেখানে ৫৭ লক্ষ টাকার ইউটিলাইজেশন হয়নি। এক জায়গা ৩২৭ লক্ষ টাকার পেমেন্ট হয়নি। তিনি বলেন, "এরপর টাকা দেওয়া যায়? আপনারাই বলুন। বিরোধিতা নয়। এটা কি রাজ্য চলছে? এটা কী রাজ্য? একজন নেতা ১০ বছর ধরে ইনকাম ট্যাক্স দেননি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেছিলেন, ভুলে গিয়েছে।"

তাঁর কটাক্ষ, মমতা দিদিও ভুলে গেলেন নাকি! খালি বলেন, পয়সা দিচ্ছে না। আরে আসবে কোথা থেকে? রশিদ দিতে হবে, হিসেব দিতে হয়। কাগজ না দিলে কী করে দেব? যে ভুল কাজ করছে তাঁকে থাকতে দেওয়া যায়? ভুল কাজ করবে আমাদের সরকার? গণতান্ত্রিক উপায়ে দেখিয়ে দিতে হবে। এ রাজ্যেও পদ্ম ফুটিয়ে দেখাব। মোদী তো টাকা দিতে চান। তবে তৃণমূলের আগে কাটমানি, তারপর সব। এটা চলতে পারে কি। শিল্প করতে যিনি আসতে চান, তিনিও যেতে চান! এখন যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা যেতে চান।  

এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আরও সমালোচনা করেন। বলেন, "খুন হলে গণতান্ত্রিক উপায়ে বদলা নেওয়া হবে। যে কোনও ঘটনাকে ছোট ঘটনা বলা হয়েছে। রক্ষকই ভক্ষক হয়ে গেলে কী হবে। সবথেকে বেশি পাচার এখানে হচ্ছে।" 

মুকুল রায় প্রসঙ্গ
তিনি বলেন, "দলের ৭৭ জন বিধায়কের মধ্যে থেকে কেউ যেতে চাইলে আমাদের খাতায় ধরা হয়! যে আপনার বিরোধিতা করবে, তাঁকে বলুন আপনি কাল আমাদের সঙ্গেই আসবেন। আগামী দিন আমাদের। রামপুরহাটের ঘটনা ২১ শতকের কেউ বলবে? মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগুন নিয়ে খেললে কেউ বাঁচে না। বাংলার সংস্কৃতির কথায় মাথায় রাখতে হবে।"