Calcutta High Court Alo Rani Sarkar TMC Bangaon Dakshin Candidate: একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ভোটে জিততে পারেননি। হেরে যাওয়ার পর গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছিলেন। তার জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে। তবে এখন বিপাকে পড়েছেন সেই তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলোরানি সরকার বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি তাঁর কাছে ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। তার পরই তৃণমূলের প্রার্থী মামলা দায়ের করেন। তিনি বিজেপি প্রার্থার জয়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ইনভেস্টরদের এক বছরে ডবলেরও বেশি টাকা রিটার্ন করেছে এই স্টক
আরও পড়ুন: ভাড়া দেখাবে, আয় বাড়াবে মেট্রোর ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড
আরও পড়ুন: টাকা দেবে Google Maps, জানুন কী করে পকেট ভরবেন!
হারের পর নয়া দায়িত্বে
বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের ওই প্রার্থীকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে নিয়ে আস হয়। তবে পরে সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানে আনা হয় গোপাল শেঠকে। আলোরানিদেবী ভোটে হেরে যাওয়ার পর স্বপ্ননবাবুর জয়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন।
শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল। হাইকোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দেয়। শুনানির সময় আদালতকে জানানো হয় আলোরানি বাংলাদেশের ভোটার। এ দেশের পাশাপাশি পড়শি বাংলাদেশেও নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর। বিজেপি প্রার্থীর হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী অরিন্দম পাল।
বিজেপির আইনজীবীর সওয়াল
তিনি আদালতে এ ব্যাপারে জানান। মামলা চলছিল বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। তখন অরিন্দম জানান, বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর। এ বিষয়ে আদালতে তথ্যপ্রমাণও জমা দিয়েছেন তিনি। তবে মামলাকারী আলোরানি সেই তথ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা কোনও তথ্য-প্রমাণ জমা দিতে পারেননি।
আদালত জানিয়েছে
এর পর বিচারপতি জানান, এ দেশের সংবিধানের দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও জায়গা নেই এর ফলে মামলাকারীকে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করতে পারেন না। তিনি এ দেশের কোনও ভোটে অংশ নিতে পারেন না। আদালত এধিন জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আলোরানি সরকারের পাল্টা দাবি
এ ব্যাপারে আলোরানি সরকার বলেন, "১৯৬৯ সালে আমার এখানে জন্ম। আমার বাবা, কাকারা এখানেই থাকেন। তাই কেউ যদি আমাকে বাংলাদেশি বলেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছি।"
তাঁর অভিযোগ, এটা একটা চক্রান্ত। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। এর শেষ দেখে ছাড়ব। তিনি যোগ করেন, রায় আমার পক্ষেই হবে এবং স্বপন মজুমদারকে ওই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে।