scorecardresearch
 

বেতনবৃদ্ধি-সহ একগুচ্ছ দাবি, পূরণ না হওয়ায় করোনা-টিকা নিচ্ছেন না একাংশের স্বাস্থ্যকর্মী

বেতন বৃদ্ধি, স্বীকৃতির দাবি জানালেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর দাবি পূরণ না হলে অভিনব প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন তারা। বাকিদের তারা করোনার টিকা দিচ্ছেন। কিন্তু নিজেরা নিচ্ছেন না। সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।

Advertisement
নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে
হাইলাইটস
  • বেতন বৃদ্ধি, স্বীকৃতির দাবি জানালেন স্বাস্থ্যকর্মীরা
  • প্রতিবাদে নিজেরা নিচ্ছেন না করোনার টিকা
  • সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা

বেতন বৃদ্ধি, স্বীকৃতির দাবি জানালেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর দাবি পূরণ না হলে অভিনব প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন তারা। বাকিদের তারা করোনার টিকা দিচ্ছেন। কিন্তু নিজেরা নিচ্ছেন না। সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।

তাঁদের দাবি,গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁদের। কিন্তু ঠিকঠাক কোনও স্বীকৃতি জোটেনি। সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে জয়েন্ট ফোরাম নামে সংগঠনের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে তাদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়।

এই সংগঠনে রয়েছেন হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেল এবং হেলথ সুপারভাইজার ফিমেল। রাজ্যে এমন  প্রায় ১৪ হাজার কর্মী রয়েছেন। যাঁরা নিজেদের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার স্তম্ভ বলে দাবি করেছেন।

কী কী দাবি রয়েছে তাদের
তাদের প্রথম দাবি বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর দুবছরের প্রশিক্ষণ নিতে হয়। ৫ হাজার জনসংখ্যা পিছু একটি করে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকার দরকার। সেখানে কোথাও ১০ হাজারের বেশি, কোথাও বা তার থেকেও বেশি জনসংখ্যা পিছু উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। 

দ্বিতীয় দাবি, উৎসাহ ভাতা বেসিকের কুড়ি শতাংশ করতে হবে করতে হবে। এছাড়াও রয়েছে তাঁদের নার্সিং ক্যাডারের মর্যাদা দিতে হবে। প্রোমোশন দিতে হবে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের জন্য সিএইচও পদ সংরক্ষিত রাখতে হবে। 

কী কাজ করেন তারা
সংগঠনে জানিয়েছে, মা ও শিশুর প্রতিষেধক, টিকাকরণের কাজ করেন তাঁরা। মারণরোগ প্রতিরোধ করে জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করেন তারা। হাসপাতালে প্রসবের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করেন। বাড়ির বদলে হাসপাতালে প্রসব করানো নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা কাজ করেন। জাতীয় টিকাকরণ, পরিবার পরিকল্পনা বিভিন্ন রকম জাতীয় কর্মসূচির কাজে থাকেন তাঁরা। 

ওই সংগঠনের মার্থারানী ঘোষ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। বারবার সরকারকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। এখন করোনার টিকা দেওয়ার কাজ চলছে আমরা সেই কাজ করছি কিন্তু নিজেরা টিকা নিচ্ছি না। কারণ বঞ্চনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিচ্ছি না। যতক্ষণ না আমাদের সমস্যার সমাধান হয়, ততক্ষণ আমরা নেব না। কিন্তু টিকা দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাবো, এটাই আমাদের প্রতিবাদ।

Advertisement

 

Advertisement