Mithun Chakraborty: রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই অবশিষ্ট নেই। আগাপাশতলা সিস্টেম নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কড়া আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা ও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি এদিন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। কদিন আগেই এবিভিপির কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসায় তাঁর তুুমুল সমালোচনা করে তৃণমূল। এমনকী তার আগে পুরনো বন্ধু অভিনেতা ও তৃণমূল নেতা চিরঞ্জিত তাঁকে অস্তমিত তারকা বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। যদিও তা নিয়ে পাল্টা তেমন কোনও মন্তব্য করেননি মিঠুন। এদিন অবশ্য কোনও ব্যক্তি নয়, গোটা রাজ্যের প্রশাসন ও সিস্টেমকে নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন। পাশাপাশি সবাইকে একসঙ্গে হাত মেলাতে অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ টেস্টের জার্সিতেও এবার রঙিন ছোঁয়া, বদলে গেল Team India-র জার্সি
আরও পড়ুনঃ 'নন্দলাল চুপ কেন?' ব্রিজভূষণের গ্রেফতারি চেয়ে মমতার নিশানায় কেন্দ্র
এদিন মিঠুন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে জানান, "এ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। আইএএস, আইপিএস, স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস, যেখানেই হাত দেবেন, দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে। পুরো সিস্টেমটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।কোনও ২-৪ জন নেতাকে গ্রেফতার করলে কিছু হবে না। কারণ একজন দুজনের কাজ এটা নয়। সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত।" এমনকী এ রাজ্য ভারতের মধ্যে আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারকা। তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার আদালত মানে না, প্রোটোকল মানে না। সিস্টেম মানে না। ভারতের ফেডারেল স্ট্রাকচারের বাইরে কাজ করে। তাই এই প্রশ্ন উঠছে যে এই রাজ্য কী আদৌ ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে আছে?" মিঠুনের দাবি, আমি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি। পেলে আপনাদের জানাব।"
এমনকী মুখ্যমন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যকে বদলে দেবেন বলেও দাবি করেন তিনি। বিধাননগরের EZCC-তে ABVP-র অনুষ্ঠানে যোগদান করে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজ্যে সিস্টেমে পচন ধরেছে। আর তাকে মেরামতের একমাত্র উপায় গণআন্দোলন।
এদিন মিঠুন বলেন, ‘কোনও প্রজন্মকে শেষ করতে গেলে আগে শিক্ষাকে শেষ করো। এই মুহূর্তে রাজ্যের কোনও ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে গেলে পরিবর্তন করতে হবে। সেটা ঠিক করবে মানুষ। আর যদি রাজনৈতিক দল বলতে বলেন, তাহলে আমি বলব বিজেপি’।
রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলায় যখনই কোনও ঘটনা ঘটেছে আমরা কিন্তু জেগেছি। তার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু এখন আমরা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছি। কারণ যারা প্রতিবাদের সামনে থাকেন তাদের আত্মা বিক্রি হয়ে গেছে। তাদের আত্মা মরে গেছে কি না জানি না। মরে গেলে আর জাগবে না। পড়াশুনো করা লোকেদের আবার কী আবেদন করব? তারা তো সব জেনে শুনে করছেন’।