World Environment Day 2022: কথায় বলে, একটা ছবি হাজার শব্দের সমান। পরিবেশ বঁচাতে যেন সেই ছবিই হাতিয়ার হয়েছে উঠেছে। পরিবেশ কতটা বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে, সে কথা বোঝাতে ছবির বিকল্প হয় না। কারণ চোখের সামনে কোনও ঘটনা দেখতে পেলে, তার অভিঘাত অনেক বেশি। আরও ভাল করে বোঝা যায় তার সমস্যার শিকড় কতটা গভীরে পৌঁছেছে। এ ব্য়াপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন একদল পরিবেশবিজ্ঞানী, পরিবেশপ্রেমী, সমাজকর্মী।
দেশের ৯ রাজ্যের ছবি
তবু অভিমান নামে সংস্থা কলা এবং ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। আসিসিআর-এর নন্দলাল বসু আর্ট গ্যালারিতে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রমেশ কর্মকার, ঋতব্রত ভট্টাচার্য, ড. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী, যোগিনী বাপট, সোলাঙ্কি ভৌমিক-সহ বিশিষ্টরা।
দেশের ৯টা রাজ্যের শিল্পীর ছবি, শিল্প সেখানে দেখানো হল। ভারতের বিভিন্ন অংশে তারা কর্মসূচি পালন করে। যাতে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনা সমাজের বিভিন্ন স্তর, বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
কোথায় গুরুত্ব এই কর্মসূচির?
জলবায়ু ফটোগ্রাফাররা বিজ্ঞানীদের মূল্যবান তথ্য প্রদান করছেন। কারণ তাঁদের ছবিগুলো বর্তমান প্রভাবগুলিকে ট্র্যাক করতে এবং পরিমাপ করতে সাহায্য করে। এবং ভবিষ্যতের ক্ষতিকারক পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেয়। এমনই টুকরো-টুকরো অনেক জিনিস তুলে ধরা যায় এ রকম কর্মসূচির মাধ্যমে।
পরিবেশ বাঁচাতে শিল্প
মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে আরও বেশি করে সচেতন করে তুলতেই এই উদ্যোগ। পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে শিল্পের এক শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। শিল্পকর্মগুলি পরিবেশগত সক্রিয়তার জন্য অপরিহার্য হাতিয়ার। যা জনসংখ্যাকে জরুরি বিষয়ে সতর্ক করে।
আরও পড়ুন: IT Return নিয়ে দু'টি বড় সিদ্ধান্ত, লাভ হবে করদাতাদের
আরও পড়ুন: Omicron ঠেকাতে তৎপর রাজ্য, একগুচ্ছ পরিকল্পনা
আরও পড়ুন: UPSC Civil Services 2020 : সফল প্রার্থীরা কী করে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, জানুন
তা স্থায়িত্ব সম্পর্কে বার্তাগুলো বোঝার সুবিধা দেয় এবং এই কারণের জন্য লড়াই করার জন্য লোকেদের সংগঠিত করতে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন
এ ব্য়াপারে বিজ্ঞানী ড. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী জানান, দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রাণী প্লাস্টিক খেয়ে ফেলছে। এর ফলে তারা প্রবল সমস্যায় পড়েছে এবং পড়ছে। প্লাস্টিকের জন্য তাদের ওপর কী চাপ, কী ক্ষতি সেটা তুলে ধরা হয়।
তিনি জানান, অনেক পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। আগে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন রকমের পাখি পাওয়া যেত। দেখা যাচ্ছে এখন সেগিলোর মধ্যে অনেকগুলো হারিয়ে গিয়েছে। আগে কী ছিল, এখন কী রয়েছে- সেই ফারাক বোঝাতে ছবি খুবই কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে।
তিনি আরও জানান, এটি প্রকৃতি এবং বন্যপ্রাণীর প্রতি সবার ভালবাসার কথা মনে করিয়ে দেয়। এটা প্রাকৃতিক বিশ্বের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বাড়ায়। পরিবেশের কারণে মানুষকে একত্রিত করে।
পরিবেশ বিজ্ঞান এবং ফটোগ্রাফির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ। ফটোগ্রাফি পরিবেশবাদের জগতে ঠিক কী ঘটছে, তা জনগণকে দেখাতে সাহায্য করে। ছবি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরে।
স্বাতীদেবী আরও জানান, প্রকৃতি এমন একটা বিষয় শুধু সেমিনার করে তাকে বাঁচানো যাবে না। কেমন আছে পরিবেশ, তার বাস্তবটা না বুঝলে তার সমস্যা বোঝা মুশকিল। পরিবেশের ভয়াবহ এবং ভাল দু'টো দিকই তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে সত্যি পরিস্থিতি উঠে আসে।