scorecardresearch
 

Cholesterol Control: ৩০-এর আগেই নিঃশব্দে ধরছে কোলেস্টেরল, কী উপায়? বিপদ বলে আসে না!

আসলে দুর্বল জীবনযাত্রা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কসরতের অভাব, তার পাশাপাশি কম পুষ্টিকর খাবারের কারণে তরুণ ভারতীয়দের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে। কোলেস্টেরল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার কারণ।

Advertisement
৩০-এর আগেই থাবা বসাচ্ছে কোলেস্টেরল। ৩০-এর আগেই থাবা বসাচ্ছে কোলেস্টেরল।
হাইলাইটস
  • আসলে দুর্বল জীবনযাত্রা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কসরতের অভাব, তার পাশাপাশি কম পুষ্টিকর খাবারের কারণে তরুণ ভারতীয়দের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে।
  • কোলেস্টেরল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার কারণ।
  • কোলেস্টেরল একসময়ে বয়স্কদের একটি রোগ হিসাবে মনে করা হত। তবে গত কয়েক বছরে তরুণদের মধ্যে হাই কোলেস্টেরলের কেস ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কোন্নগরের থাকেন বছর আঠাশের অর্পণ ঘোষ। ওয়ার্ক ফ্রম হোমে এক আইটি সংস্থায় কাজ করেন। হঠাৎ একদিন রাতে বুক চিনচিন। পরের দিন ডাক্তার দেখাতেই ব্লাড টেস্ট করাতে বললেন। দেখা গেল কোলেস্টেরল 260 mg/dL। এই বয়সে এত কোলেস্টেরল!

আসলে দুর্বল জীবনযাত্রা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কসরতের অভাব, তার পাশাপাশি কম পুষ্টিকর খাবারের কারণে তরুণ ভারতীয়দের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে। কোলেস্টেরল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার কারণ।

ভারতীয় যুবকদের মধ্যে কোলেস্টেরল বাড়ছে কেন? নয়াদিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ সুরঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় জানান, 'আমার কাছে এমন অনেক রোগী আসেন, যাঁদের বয়স ২০-র কোঠায়। লিপিড প্রোফাইল রিপোর্ট দেখার আগে অবধি তাঁরা মানতেই চান না যে তাঁদের কোলেস্টেরল আছে।'

আরও পড়ুন

কোলেস্টেরল একসময়ে বয়স্কদের একটি রোগ হিসাবে মনে করা হত। তবে গত কয়েক বছরে তরুণদের মধ্যে হাই কোলেস্টেরলের কেস ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ের বিষয়টি হল, অনেকেই বাড়াবাড়ি না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টা ধর্তব্যের মধ্যেই আনেন না।

কোলেস্টেরল বৃদ্ধি খুব অল্প বয়সেই শুরু হতে পারে। এমনকি বয়ঃসন্ধিকালেও হতে পারে। তবে রোগীরা সাধারণত ২০ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত কোনও সমস্যা অনুভব করেন না। এ কারণেই উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে অনেক যুবক কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন।

কোলেস্টেরল কী
কোলেস্টেরল লিভারে উত্পাদিত একটি মোমের মতো পদার্থ। এটি হজম প্রক্রিয়ার জন্য় গুরুত্বপূর্ণ অনেক ধরণের হরমোন তৈরি করে। উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (HDL) এবং নিম্ন ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (LDL) কে LDL বলা হয়। এইচডিএল ভাল কোলেস্টেরল হিসাবে পরিচিত এবং 50mg/dL বা তার বেশি হওয়া উচিত। আপনার শরীরে LDL অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে হবে। এলডিএল কোলেস্টেরল 100 মিলিগ্রাম/ডিএল-এর কম হওয়া উচিত।

কোলেস্টেরলের লক্ষণ
উচ্চ কোলেস্টেরলের সাধারণত কোনও উপসর্গ থাকে না। কিন্তু যদি চিকিৎসা না করা হয় তাহলে তা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো বড়সড় শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। তাই কোলেস্টেরল নিয়মিত পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

Advertisement

যুবক-যুবতীদের কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণ
এর জন্য় মূলত লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। শৈশবের নিষ্পাপ চিপসের প্যাকেট দিয়েই আমাদের বদ অভ্যাসের শুরু হয়। প্রসেসড ফুড, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট ভর্তি ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শুয়ে-বসে কাটানো এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাব শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যায়।

ফ্যামিলি হিস্ট্রি এবং ডায়াবেটিসও এর কারণ হতে পারে
প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ নির্ণয় এবং প্রতিরোধ করাই তাই সবচেয়ে ভাল উপায়। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের কারণ হতে পারে। চিকিৎসকরপা বলছেন, ২০ বছর বা তার বেশি বয়সী তরুণদের প্রতি ৪-৫ বছর অন্তর কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিত। এমনকি আপাতভাবে ফিট হলেও সেটা করা উচিত। আর যদি কোনও লক্ষণ দেখা যায়, সেক্ষেত্রে প্রতি বছরই পরীক্ষা করাতে হবে।

Advertisement