করোনা দ্বিতীয় ঢেউ (corona second wave) ভারতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। প্রতি দিন প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সংক্রমণের আওতা থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। যুবাদের মধ্যে এ বার মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। কঠিন পরিস্থিতিতে গর্ভবতী মায়েদের সমস্যা হতে পারে বেশি। করোনা থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতাই একমাত্র উপায়, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।
ইউনিসেফের গাইডলাইনে এ বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। বাড়িতেই কী ভাবে হবু মায়েরা তাঁদের যত্ন নিতে পারেন সে সম্পর্কে গাইডলাইনে সবিস্তারে বলা হয়েছে।
মায়ের শরীর থেকে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ (ভার্টিক্যাল ট্রান্সমিশন) হয় কি না তা এখনও ঠিক ভাবে জানা যায়নি। ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অব মিডওয়াইভসের সভাপতি ফ্র্যাঙ্কা ক্যাডি বলেন, 'ভ্যাজাইনাল ফ্লুইড, গর্ভনালী বা মায়ের বুকের দুধে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। যদিও এবিষয়ে এখনও অনেক নতুন তথ্য আসছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত অ্যামনিওটিক ফ্লুইড বা গর্ভফুলেও কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি।'
তাই এটা মনে রাখবেন বুকের দুধের মধ্যে দিয়ে এই ভাইরাস সন্তানের শরীরে যেতে পারে না। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্কতাই একমাত্র পথ।
২) বাড়িতে কারও সামান্য উপসর্গ থাকলেও তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন, যত দিন না টেস্টের রিপোর্ট আসছে।
৩) ডায়েটের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন। খাবারের মাধ্যমেই মা এবং বাচ্চার পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। তাই প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম আহার অত্যন্ত জরুরি।
৪) নিয়ম করে পর্যাপ্ত ঘুমোতে হবে। অযথা রাত জাগবেন না। বাড়ির হালকা কাজ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সামান্য ব্যায়াম করতে পারেন। মুড ভালো থাকবে।
৫) খুব প্রয়োজন না হলে ডাক্তারের চেম্বারে যাবেন না। ফোনেই যাবতীয় পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে ভিডিও কলে সরাসরি কথা বলুন।
৬) বাড়িতে দরকারি ওষুধ এবং বিভিন্ন ছোটখাটো পরীক্ষা করার জন্য মেশিন, যেমন থার্মোমিটার, অক্সিমিটার, প্রেসার মাপার যন্ত্র ইত্যাদি মজুত রাখুন।
৭) একান্তই যে সমস্ত রপীক্ষা প্রয়োজন তা আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে করুন। যাতে নির্দিষ্ট সময়ে ফাঁকায় গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারেন।
৮) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণ আছে এমন মহিলাদের নর্মাল ডেলিভারিতে তেমন কোনও সমস্যা নেই।
৯) বুকের দুধ থেকে করোনা সংক্রমণ হয় না ফলে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান, তাতে কোনও সমস্যা নেই। মায়ের দুধ শিশুর শরীরে ইমিউনিটি বাড়িয়ে করোনা প্রতিরোধে সাহায্য করবে।