প্রেগন্যান্ট হওয়া একটি সুন্দর অনুভূতি। এটা একমাত্র নারীদের পক্ষেই সম্ভব। তবে জেনে আশ্চর্য হবেন, কিছু পুরুষ প্রেগনেন্সির লক্ষ্ণণ অনুভব করতে পারেন!
কিছু পুরুষের মধ্যে এই Couvade Syndrome লক্ষ্য করা যায়। আশ্চর্যের বিষয়, সঙ্গিনীর প্রেগনেন্সির সমস্ত লক্ষ্মণ দেখে বিশেষ কিছু পুরুষদের এই সমস্ত লক্ষ্মণ ফুটে ওঠে। একে সহানুভূতি গর্ভাবস্থা বা Sympathetic pregnancy-ও বলা হয়ে থাকে।
লন্ডনের সেন্ট জর্জ হাসপাতালের একটি গবেষণা বলছে, কোভেড সিনড্রোম হলে পুরুষদেরও মহিলাদের প্রেগনেন্সির মতো পেট ফোলা, পেটে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, মুড স্যুইং, মর্নিং সিকনেস, বেশি খেদে পাওয়ার মতো প্রেগনেন্সির নানা লক্ষ্মণ প্রকাশ পায়।
গবেষণা বলছে, যে সমস্ত পুরুষরা প্রেগন্যান্ট পার্টনার এবং বহু সন্তানের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল হন, তাঁদের কভেড সিনড্রোম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এ ছাড়া সন্তানের জন্য বেশি চিন্তা করার ফলেও শরীরে তার প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে। এই সিনড্রোম প্রেগনেন্সির প্যাটার্নের উপর খানিকটা নির্ভরশীল।
প্রথম ত্রৈমাসিকে শুরু হয়। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে অস্থায়ী ভাবে চলে গেলেও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ফের একবার ফিরে আসে। সন্তানের জন্মের কিছু দিন পর পর্যন্ত এই লক্ষ্মণ বজায় থাকতে পারে।
এই সিনড্রোম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলিতেই বেশি দেখা গিয়েছে। স্টাডি অনুযায়ী আমেরিকা, সুইডেন, থাইল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে পুরুষদের মধ্যে এই সিনড্রোম বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
মনোবৈজ্ঞানিক কারণ - গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নারীদের সন্তান ধারণের ক্ষমতায় কিছু পুরুষ খুব ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন। তার ফলেই এই সিনড্রোম সেই পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়।
এর একটি অন্য থিওরি রয়েছে। বহু সন্তানকে অনেকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করেন। কারণ মা তাঁর সন্তানের প্রতি বেশি যত্নবান হয়ে পড়েন। তাই মনোযোগ আকর্ষণের জন্যই তাঁদের শরীরে এমন প্রতিক্রিয়া হয়।