২০০১ সাল থেকে, ১ জুন বিশ্ব খাদ্য হিসাবে দুধের গুরুত্বকে বোঝাতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (Food and Agriculture Organisation /FAO) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস (World Milk Day )চালু করে। দুধ প্রতিটি ব্যক্তির জন্য স্বাস্থ্যকর, সুষম ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং বিশ্ব দুগ্ধ দিবস এই বার্তাটি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত দিন।
দুধ একটি পুষ্টিকর সমৃদ্ধ তরল যা মহিলা স্তন্যপায়ী প্রাণীরা তাদের সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য উৎপাদন করে। গরু, ভেড়া, মহিষ এবং ছাগল থেকেই পানীয় দুধ সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এক নজরে দেখে নিন দুধ পান করা কতটা স্বাস্থ্যকর।
প্রোটিনে সমৃদ্ধ:
দুধ প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। এক কাপেই ৮ গ্রাম মাত্র প্রোটিন থাকে। প্রোটিন শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বৃদ্ধি এবং বিকাশ, সেলুলার মেরামত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
হাড়ের জন্য উপকারী:
নিয়মি দুধ পান করলে হাড় মজমুত হয় এবং দীর্ঘদিন ভাল থাকে। এটি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম সহ পুষ্টির শক্তিশালী সংমিশ্রণ। এই পুষ্টিগুলির সবই শক্তিশালী, স্বাস্থ্যকর হাড় বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বহুমুখী উপাদান:
দুধ একটি বহুমুখী উপাদান যা সহজেই আপনার ডায়েটে যুক্ত করা যেতে পারে। সারাদিন ঠিক মতো খাওয়া না হলেও, এক গ্লাস দুধ খেলে শরীরের সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারে দুধ।
ওজন বৃদ্ধি আটকায়:
অনেকে ভাবেন দুধ খেলে বোধ হয় ওজন বেড়ে যাবে। তবে এটি একটি ভুল ধারনা। আসলে দুধ, শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। যার ফলে ওজন বৃদ্ধি হয় না।
দুধ দিয়ে স্মুদি, ওটসমিল, কফি, স্যুপ এবং আরও একাধিক সুস্বাদু পদ তৈরি করা যেতে পারে। এগুলি রোজকার ডায়েটে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।