সাধারণভাবে মনে করা হয় মিষ্টি জাতীয় খাবার না খেলেই কন্ট্রোলে তাঁকে ডায়বেটিস। তবে তা একেবারেই ভুল ধারনা। শুধু মিষ্টি জাতীয় খাবার নয়, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সামগ্রিক খাওয়া-দাওয়ার উপরেও নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য টিপস দিলেন সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।
রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। সোমবার সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারকা। ডায়বেটিস আক্রান্তদের তাঁর পরামর্শ, 'কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা শুধু খাওয়ায়। আমি গোগ্রাসে খাই। মিষ্টি না খেলেই ডায়বেটিস কন্ট্রোলে থাকবে এমনটা ঠিক নয়। আমার দোষ প্রচুর খাই।' কলকাতায় এলেই যে এই খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায় তাও স্বীকার করলেন তিনি। বলেন, 'কলকাতায় যা পাই মুম্বই বা ব্যাঙ্গালোরে তো তাই পাই না। সেই জন্যই খাওয়াটা বেশি হয়ে যায়। সেই কারণেই সুগার বেড়ে গিয়েছে।'
অভিনেতা আরও জানান, 'সব ঠিক আছে। তবে আমাকে খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যম দিয়ে বার্তা দিতে চাই, যাদের ডায়বেটিস আছে, তাঁরা ভাববেন না যে মিষ্টি না খেলে আপনার কিছু হবে না। সমস্ত সমস্যাই খাওয়াতে। খাওয়া কন্ট্রোল করুন। আর প্লিজ ভয় পাবেন না। ইনসুলিন সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ। জাতে আপনার শরীর ভাল থাকবে। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।'
প্রচুর খেয়ে এমন সমস্যা বাঁধানোর জন্য ডাক্তারদের কাছে বকাও খেতে হয়েছে মিঠুনকে। সে কথাও জানাতে ভোলেননি তিনি। বলেন, 'ডাক্তার একটু বকলেন। এটুকু দরকার ছিল।' হাসপাতাল ছাড়ার আগে ফের ডায়বেটিস রোগীদের খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার কথা আবারও জানালেন মিঠুন। তিনি থাকবেন, অথচ রাজনৈতিক আলোচনা হবে না তা হয় নাকি? এক্ষেত্রেও তা হয়েছে। প্রায় সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই দিয়েছেন ঠাণ্ডা মাথায়। তবে যাওয়ার আগে তাঁর অনুরাগীদের দেখে চমকে গিয়েছেন মিঠুন। সাংবাদিকদের কাছে জানতে চেয়েছেন, এত মানুষ কীভাবে এলেন এখানে? সাংবাদিকরা জানান তাঁকে দেখতে এসেছেন। তার পরেই সমবেত জনতার দিকে হাত নাড়িয়ে মিঠুনের জবাব, 'আমি ভাল আছি।' কিছুদিনের মধ্যেই ফের শুটিং চালু করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। খুব দ্রুত জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে যে তিনি মরিয়া তা বারেবারে বোঝা গেল সোমবার।