7 Days Beauty Tips Challenge: মাত্র আর কয়েকটা দিন। সামনেই পুজো। অনেকেরই মুখে মুখে ছুটি হয়। ফলে কাজের চাপে সৌন্দর্য চর্চা প্রায় করা হয় না বললেই চলে। যখন সময় মেলে তখন আর করার কিছু থাকে না। সারা বছরের কাজের চাপে চেহারার যা অবস্থা, তা থেকে মুক্তি পেতে হবে। নইলে পুজোর সাজ ঠিক খুলবে না। তাই কয়েকটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, যাতে পুজোয় আপনি সবচেয়ে সেরা সুন্দর বা সুন্দরী হয়ে উঠতে পারেন। কারণ পুজোর নতুন সাজে, সবচেয়ে আকর্ষণীয় না লাগতে পারলে এত আয়োজন তো বৃথাই না কি?
পুজোর কটা দিন কীভাবে যত্ন নেবেন এবং কীভাবে নিজেকে ফিট এবং ফাইন রাখবেন?
১. নিয়ম মেনে ঘুমোতে হবে। রাতে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম অত্যন্ত জরুরি। না হলে চোখের সমস্যা, ত্বকের জেল্লা কমে যাওয়া, এমন নানা রকম বিপদ বাড়তে থাকবে। যদি ত্বক ফ্রেশ না থাকে তাহলে সাজগোজের জেল্লা নষ্ট হতে পারে।
২.রাতে ঘুমানোর আগে কোন ইলেকট্রিক গেজেটে মগ্ন থাকবেন না। তাহলে ঘুম আসতে দেরি হবে। চোখের উপর চাপও পড়বে। ডার্ক সার্কেল পরতে পারে।
৩. সন্ধ্যের পর থেকে কফি খাওয়া চলবে না। চা খেলেও লিকার চা। না খেলে আরও ভাল। নইলে ঘুম চটকে যেতে পারে। যাতে আখেরে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
৪. সারাদিনের কাজ ছেড়ে রাতে বাড়িতে ফেরার পর যখন মুখ ধোবেন, হালকা উষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিন। অল্প তুলো ভিজিয়ে কপাল থেকে গলা মুছে নিন। এরপর ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। এতে রোজকার সারাদিনের ধুলো ময়লার ত্বকে বসতে পারবে না। মুখ থাকবে ফ্রেশ ঝকঝকে।
৫. রাতে বাড়ি ফিরে শুধু মুখের পরিচর্যা না করে পায়ের দিকে একটু গুরুত্ব দিতে হবে। গোড়ালি ভালো করে স্ক্রাব করে নিতে পারেন। ফাটা দাগ মিলিয়ে যাবে। পেডিকিওর-ম্যানিকিওরের সরঞ্জাম বাড়িতে থাকলে তো আরও সুবিধা। পায়ের জল তোয়ালে দিয়ে হালকা মুছে নিন। ফুট ম্যাসাজ ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
৬. এ কদিন রোদ্দুর টা একটু এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। চোখে অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহার করুন। রোদে বেরোনোর অন্তত দশ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লোশন লাগান। ক্রিমটা ত্বকে বসতে দেওয়ার মতো সময় দিতে হবে। ক্রিম লাগিয়েই বাইরে বেরিয়ে পড়বেন না।
(এটি সাধারণ অনুমানের ভিত্তিতে লেখা প্রতিবেদন। সবার সমান ফল নাও হতে পারে। যে কোনও পরীক্ষার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)