নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম সেমিফাইনালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে আগুন ঝরিয়েছেন মহম্মদ শামি। একাই সাত উইকেট নিয়ে কিউয়িদের ৩৯৭ রান তাড়া করে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন ভেঙে দেন শামি। পাশাপাশি দুই রেকর্ডঅ গড়েন। টিম ইন্ডিয়াকে ফাইনালে তোলার পর, ড্রেসিংরুমে শামির ডান হাত ধরে চুমু খান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
শামির হাতে অশ্বিন চুমু খেতে গেলে জোরে বোলার বলেন, ‘জবাব দিয়ে এসেছি আমি।’ যা শুনে অশ্বিন বলেন, ‘ফানি বয়।’ এই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নানা ধরনের মজার পোস্ট চলছে এই ছবি ও ভিডিও নিয়ে। বুধবার মুম্বইয়ে নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডারের পাঁচজন ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামনসন, ডারিল মিচেল ও টম লাথামকে সাজঘরে ফেরান মহম্মদ শামি। পরে টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসনকেও সাজঘরের পথে ফেরত পাঠান তিনি। এই ৭টি উইকেট নেওয়ায় ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে শামির উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৪টি। তিনি মোটে ১৭টি ম্যাচে বল করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। তিনিই বিশ্বকাপে মোট ৫০ উইকেট নেওয়া প্রথম ভারতীয় বোলার।
২০১৫ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে সুযোগ পান মহম্মদ শামি। সেবার ৭ ম্যাচে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৯ বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন শামি। মাত্র ৪টি ম্যাচে মাঠে নেমে শামি নেন ১৪টি উইকেট। ২০২৩ বিশ্বকাপেও শুরু থেকে দলে সুযোগ পাননি শামি। চার ম্যাচ পর মাঠে নামেন তিনি। ৬টি ম্যাচে মাঠে নেমে ২৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন মহম্মদ শামি।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ৯.৫ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ৭টি উইকেট তুলে নেন। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের আর কোনও বোলার এক ম্যাচে ৭টি উইকেট নিতে পারেননি। শামিই ভারতের প্রথম বোলার, যিনি বিশ্বকাপের নক-আউটে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। এবারের বিশ্বকাপে শামি এই নিয়ে ৩ বার ইনিংসে ৫ উইকেট দখল করেন। বিশ্বকাপের সার্বিক ইতিহাসে এই নিয়ে মোট ৪ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নেন শামি, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তিনি ভেঙে দেন মিচেল স্টার্কের রেকর্ড। স্টার্ক বিশ্বকাপে মোট ৩ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন।
একটা সময় দৈনিক ১০০ টাকা খোরাকি, বার্ষিক সত্তর হাজার টাকার চুক্তিতে কলকাতা ময়দানের ক্লাব ক্রিকেটে খেলতে এসেছিলেন শামি। কলকাতা ময়দানে যার হাত ধরে শামির আত্মপ্রকাশ সেই দেবব্রত দাস বলছেন, বড় সড় চেহারা না হলেও শামি শুরুর দিন থেকে অভ্রান্ত নিশানায় বল ফেলতে পারে। বলের সিম সোজা পড়ায় ব্যাটারদের বুঝতে সমস্যা হয়।