scorecardresearch
 

পাহাড়ে অশান্তি রুখতে আসরে অনিত থাপা

পাহাড়ে বিমল গুরুংকে হুঁশিয়ারি দিতে শান্তি বজায় রাখতে আর্জি অনিত থাপার। প্ররোচনায় পা দিতে বারণ দলের সদস্যদের। আইনে বিশ্বাস রাখতে পরামর্শ।

Advertisement
অনিত থাপা অনিত থাপা
হাইলাইটস
  • অশান্তি নয় বার্তা অনিতের
  • রাজু বিস্তার সমর্থন শান্তিতে
  • আইনের উপর বিশ্বাস রাখার পরামর্শ

বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরতেই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। এমনই অভিযোগ তুলে শান্তি বজায় রাখতে প্রেস বিবৃতি দিলেন বিনয়পন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সহ-সভাপতি অনিত থাপা। তাঁর দাবি, পাহাড়ে সুখ এনে দিতে না পারুক তাঁরা যেন শান্তি নষ্ট না করে। ভোট মিটতেই পাহাড়ের যে বিক্ষিপ্তভাবে হামলা অহিংসার ঘটনা শুরু হয়েছে, সেই ঘটনাকে নিন্দা করে তিনি এদিন কড়া বার্তা দিয়েছেন। পৃথকভাবে পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও। তিনিও রাজনৈতিক মতাদর্শে প্রভেদ থাকলেও পাহাড়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানি এবং হিংসা করে কোন লাভ হবে না। বরং পাহাড়ের সবার নিজেদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান রাখা উচিত।

অনিতের বিবৃতি

বিমল গুরুং এবং তার সহযোগীদের ধিক্কার জানিয়ে অনিত থাপা জানিয়েছেন, কোথাও কোনও গোলমাল ঘটে থাকলে বা অন্য কোনও রকম সমস্যা তৈরি হলে তা মেটানোর জন্য জেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ সঠিক এজেন্সি। ফলে কোনও ক্ষেত্রেই আইন নিজের হাতে নেওয়া উচিত হয়নি। তাদের সমর্থক মহেন্দ্র ছেত্রীকে মারধরের ঘটনায় বিমল গুরুং এবং তার সহযোগীদের ই অভিযুক্ত করেছেন তিনি। এমনকী দার্জিলিং থেকে সোনাদা গিয়ে অশান্তি ছড়ানোর পেছনে তাদের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তার। যদি এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বিমল গুরুংপন্থীরা। পাশাপাশি অনিত থাপা তাঁদের নিজেদের সমর্থকদের কোনও রকম প্ররোচনায় পা না দিতে অনুরোধ করেন।

রাজু বিস্তার অনুরোধ

সাংসদ রাজু বিস্তা অনুরোধ করেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রত্যেককে ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। এখন নিজেদের মধ্যে হানাহানি সময় নয়।

সংক্ষিপ্ত পটভূমি

২০১৮ এর জুন মাসে ধারাবাহিক হিংসার ঘটনার পর থেকে আড়াই বছরের বেশি সময় পাহাড় ছাড়া ছিলেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। সেই সময় পাহাড়ে থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চারই অন্য গোষ্ঠী বিনয় তামাং, অনিত থাপারা। প্রত্যাবর্তনের পর দু একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও তারপর থেকে তেমন গোলমাল হয়নি। নির্বাচনে পৃথকভাবে লড়ার পর ফের পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর পিছনে বিমল গুরুংকে দোষারোপ করছে বিনয় গোষ্ঠী। ঘটনাচক্রে বিমলের অনুপস্থিত থাকার সময় পাহাড়ে একটিও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা পাহাড়ের কোথাও লিপিবদ্ধ হয়নি।

Advertisement

 

 

Advertisement