বীরভূমে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই জেলায় আক্রান্ত হচ্ছেন স্কুল পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নানুরের টিকেএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আগেই। এবার বোলপুরের বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে ৫ ছাত্রছাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। শনিবার এই রিপোর্ট সামনে আসতেই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : পুরভোটের ইস্তেহার প্রকাশ TMC-র, একনজরে শাসকদলের প্রতিশ্রুতি
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীদের সংস্পর্শে এসেছেন বা এসেছে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করানো হবে। এই ঘটনার ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক মহলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের কয়েক দিন ধরে জ্বর এবং কাশি হওয়ার জন্য করোনা পরীক্ষা করানো হয়। তারপরই এই আক্রান্তের খবর সামনে আসে। এই ছাত্রছাত্রীরা মূলত একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলের সব শিক্ষিকা এবং ছাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করানো হবে। তারপর রিপোর্ট সামনে আসার পর বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : 'ও শুধু আমার শরীর চাইত,' ২০ বছর বড় মহিলার সঙ্গে প্রেম করে দাবি যুবকের
এই বিষয়ে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আরি বলেন, সাধারণ মানুষের অসচেতনতার জন্য আবার করোনা বাড়তে শুরু করেছে। জেলায় প্রতিদিন ২০-২৫ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। তার উপর ওমিক্রনের আতঙ্কও রয়েছে। তাই প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে। স্কুল চাইলে স্বাস্থ্য দফতর ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষিকাদের করোনা পরীক্ষা ব্যবস্থা করতে পারে।
আবার স্কুলের শিক্ষিকা শুভ্রা ঘোষ বলেন, 'সামনে ১৫ তারিখ থেকে টেস্ট পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তাই এমনই পঠনপাঠন বন্ধ আছে। তবে শনিবার সবার করোনা পরীক্ষা করানো হবে।'