করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্কুল। অনলাইন ক্লাসই ভরসা এখন পড়ুয়াদের। কিন্তু সেই অনলাইন ক্লাসে বোঝা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ৬ বছরের এক খুদে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। তার দাবি, অনলাইনে পড়ার চাপ বেশি। কেন এতো চাপ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টির দেখার জন্য আর্জি জানান ওই খুদে। ভিডিও ভাইরাল হতেই সক্রিয় হন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল মনোজ সিনহা। পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের একটি পলিসি নির্ধারন করার জন্য শিক্ষা দফতরকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, এই মাছ ধরেই খুলে গেল ভাগ্য! লাখ লাখ টাকা পেল জেলে
কী দাবি ওই খুদের
ভাইরাল ভিডিওতে ছোট ওই খুদের দাবি, সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত তাদের ক্লাস করতে হয়। পড়ার বোঝা অনেকটাই থাকে। ইংরেজি, অঙ্ক, উর্দু এবং আরও বেশ কিছু বিষয় পড়ানো হয়। ছোট বাচ্চাদের উপর কেন এতো চাপ দেওয়া হবে ভিডিওতে প্রশ্ন করেন ওই খুদে। পাশাপাশি হোমওয়ার্কের চাপ নিয়েও অভিযোগ করে সে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ জানায় ওই ছাত্রী। ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর শেয়ার হয়। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখের বেশি ভিউয়ার্স হয়েছে ভিডিওটিতে। নেটিজেনরা ভিডিওটি পোস্ট করে ট্যুইটও করছেন।
Very adorable complaint. Have directed the school education department to come out with a policy within 48 hours to lighten burden of homework on school kids. Childhood innocence is gift of God and their days should be lively, full of joy and bliss. https://t.co/8H6rWEGlDa
— Office of LG J&K (@OfficeOfLGJandK) May 31, 2021Advertisement
ট্যুইট রাজ্যপালের
ভিডিও ভাইরাল হতেই ট্যুইট করেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল মনোজ সিনহা। সেখানে তিনি বলেন, মিষ্টি অভিযোগ। কিন্তু পড়ুয়াদের উপর বোঝা কমাতে হবে। শিক্ষা দফতরকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উপযুক্ত নীতিমালা তৈরি করতে হবে অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে। ছোটবেলার দিনগুলি পড়ুয়াদের খুশিতে কাটুক। যদিও এখনও সেই বালিকার কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে সে কাশ্মীরের বাসিন্দা। কিন্তু কাশ্মীরের কোথায় থাকে, তা জানাও সম্ভব হয়নি। আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ১ মিনিট একটি ভিডিও বিখ্যাত করে তুলেছে। তার জেরে শিক্ষা দফতরকেও নতুন পলিসি ঠিক করতে হচ্ছে। এমনকি ট্যুইট করতে হয়েছে রাজ্যপালকেও।