দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিলই। অবশেষে সক্রিয় হলো পুলিশ। অবৈধ বালি তোলা ও পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো দুই ব্যক্তিকে।
মহানন্দা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া থানার বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার ব্লকের বাদলাকাটাতে।ধৃতদের হেফাজত থেকে একটি ড্রেজার উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ড্রেজার দিয়েই বালি তুলে পাচার করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। কার বা কাদের অনুমতিতে তারা বালি তুলছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বিধাননগর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম শান্তনু মজুমদার এবং দেব নারায়ন সাহানি। শান্তনু উত্তর দিনাজপুর জেলার সোনাপুর ও দেব নারায়ন দার্জিলিং জেলার ভুরিয়াখালির বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, চলতি মাসের ২২ তারিখে একটি লিখিত আসে যে বাদলাকাটাতে মহানন্দা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে এবং অবৈধ ভাবে বালি তোলার কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। তার সাথে মহানন্দা নদী উপর ব্রিজটির ক্ষতি হচ্ছে।’
এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই গোটা ঘটনার তদন্তে নামে বিধাননগর থানার পুলিশ। এরপর এদিন একটি জেসিবি সহ দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসিতে তিন রকমের মামলা দায়ের করা হয়ে। এর পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই ঘটনায় সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছেন তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। ধৃতদের এদিন শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
শুধু এই এলাকায় নয় শিলিগুড়ি লাগোয়া এলাকায় মহানন্দা বুড়ি বালাসন নদীর পাড় থেকে যথেচ্ছ বালি পাথর তুলে নদীর বক্ষ গভীর গর্তের সৃষ্টি করছে এতে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে পরিবেশবিদরা একাধিকবার বিভিন্ন সময় আন্দোলন বিক্ষোভ করেছেন কিন্তু তারপরও টনক নড়েনি প্রশাসনের কখনো-সখনো অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হলেও দীর্ঘ মেয়াদী ভিত্তিতে কোন জায়গায় বালি-পাথর তোলা বন্ধ করা যায়নি। শিলিগুড়ি বর্ধমান রোড লাগোয়া মহানন্দা নদীর একাধিক জায়গায় অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে পুলিশের কাছেও। সরকারি পারমিট না থাকা সত্ত্বেও এই সমস্ত জায়গা থেকে বালি তোলা হচ্ছে।