বালুরঘাটে বেআইনিভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুধু ভরাট করাই নয়, তাকে বুজিয়ে রাতারাতি বাড়ি তৈরি শুরু করার অভিযোগও রয়েছে।
সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বালুরঘাট শহরের বেপরোয়া ভাবে পুকুর ভরাট করার কাজ চলছে। কয়েক জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খাস শহরের বুকে চলছে পুকুর বোজানোর কাজ। ইতিমধ্যে সেখানে বুজিয়ে বাড়ি অভিযোগের তির। বিশেষ করে বাড়িও তৈরি করার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে ওই ব্যাক্তি বলে জানা গিয়েছে।
তাও রাতের অন্ধকারে নয়, দিনে দুপুরেই কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে পুকুর ভরাটের অভিযোগের ঘটনাটি ঘটেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বালুরঘাট চকভৃগুর পল্লী পাঠাগার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় দুটি পুকুর অবৈধভাবে ভরাট করা হচ্ছে। এলাকার কিছু সমাজবিরোধীদের প্রত্যক্ষ মদতে এই কাজ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নিয়ে বালুরঘাট পুরসভাকে লিখিত অভিযোগ জানালেও পুরসভার তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে এ নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, এই পুকুর বোজানো হলে বর্ষার সময় এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
তাদের আরও অভিযোগ স্থানীয় স্তরে ও পুরসভায় অভিযোগ জানালেও এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে পুরসভার মদত রয়েছে কি না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যদিও কোনও সদুত্তর মেলেনি কোনও পক্ষ থেকেই।
যদিও পুকুর ভরাটে অভিযুক্তর দাবি, যে পুকুর নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি আদৌ পুকুর নয়, ডাঙ্গা জমি। তা ছাড়া পুরসভাতে স্থানীয়রা অভিযোগ জানানোর পর পুরসভা ডেকে পাঠালেও তাদের এই ডাঙ্গা জমির কাগজ পত্র ও দলিল দেখানো হয়েছে। পুরসভার তরফে যাবতীয় কাগজপত্র পরীক্ষার পর ছাড়পত্র মিলতেই কাজ শুরু হয়েছে। ফলে এখন আর কোনও সমস্যা থাকার কথা না। স্থানীয়রা না জেনে অযথা অভিযোগ করছে। এখানে তাঁরা বাড়ি নির্মান করবেন বলে দাবি করা হয়।
অপরদিকে, এ ব্যাপারে পুরসভার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোন পদাধিকারিক মুখ খুলতে নারাজ। নথি ঠিক থাকলে তা নিয়ে কথা বলতে আপত্তি কোথায় তা বোঝা যায়নি।