scorecardresearch
 

সেতু, রাস্তা নেই, ভোট বয়কটের পথে দক্ষিণ দিনাজপুরের দুই কেন্দ্রে

এবার উত্তর দিনাজপুরের পথে হেঁটে সেতুর দাবি তুলে ভোট বয়কট করলো পুরনো দোসর দক্ষিণ দিনাজপুর সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি সনদে রয়েছে রাস্তাও। এই জেলার দুটি কেন্দ্র আপাতত ভোট বয়কটের পথে।

Advertisement
ভোট বয়কট ভোট বয়কট
হাইলাইটস
  • সেতুও নেই, রাস্তা নেই, ভোট বয়কট
  • প্রায় ৫০ বছর ধরে অনুন্নয়ন চলছে
  • বর্ষায় ভয়াবহ অবস্থা

এবার উত্তর দিনাজপুরের পথে হেঁটে সেতুর দাবি তুলে ভোট বয়কট করলো পুরনো দোসর দক্ষিণ দিনাজপুর সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি সনদে রয়েছে রাস্তাও। এই জেলার দুটি কেন্দ্র আপাতত ভোট বয়কটের পথে।

কোথায় বয়কট

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন বিধানসভার জলঘর পঞ্চায়েত এলাকার কাশিয়াডাঙা ছোটদেওড়া গ্রামের বাসিন্দারা এদিন সপ্তম দফার ভোটে কেউ ভোট দিলেন না।

এলাকার ভূগোল

বালুরঘাট শহর সংলগ্ন গ্রাম ছোটদেওড়া গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাশিয়া নদী। গ্রামের একদিকে কাশিয়াডাঙা গ্রাম আর আরেক দিকে রয়েছে দোগাছি ফরেস্ট ও বালুরঘাট শহরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগকারী পাকা রাস্তা। গ্রামবাসীদের কথায়, তাঁদের শহরে যেতে গেলে গ্রামের খানা খন্দে ভরা মাটির আলের রাস্তা ধরে ২ কিমি ঘুরে কাশিয়াডাঙা হয়ে তারপর বড় রাস্তা ধরতে হয়। দোগাছি ফরেস্টের ভিতর দিয়ে দোগাছি মোড়ে উঠে পাকা রাস্তা ধরা হয়, তাহলে অতি অল্প সময়েই বালুরঘাট শহরে পৌঁছে যাওয়া যায়। এমনিতে খরার সময় এই শাখা নদীতে জল না থাকায় বাশের মাঁচা বানিয়ে তার উপর দিয়ে হেঁটে বা সাইকেলে অরণ্যের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গিয়ে পাকা রাস্তা ধরে অনায়াসেই খুব দ্রুত শহরে চলে যাওয়া যায়।

সমস্যা কখন

সমস্যা হয় বর্ষায়। এই শাখা নদী যখন ফুলে ফেঁপে ওঠে তখন এই শর্টকাট রাস্তা পার করাই গ্রামবাসীদের দায় হয়ে পরে। আবার কাশিয়াডাঙ্গা ঘুরে ২ কিমি মত মাটির এবড়ো থেবড়ো কাঁচা রাস্তা ধরে শহরে যাওয়ার জন্য তপন – বালুরঘাট রাজ্য সড়ক ধরলে এক হাঁটু কাদায় ভরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বাম আমলের ৩৪ বছর এবং তৃণমূলের দশ বছরে শুধু মিলেছে প্রতিশ্রুতি, কাজের কাজ কিছু হয়নি। সেই কারণে ছোট দেওরা গ্রামের প্রায় ৪০০ ভোটারদের ভোট বয়কট করছেন।

Advertisement

হরিরামপুরেও বয়কট

রাস্তা মেরামতির দাবিতে ভোট বয়কট করল দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১৪৪ নং বুথের ভোট দাতারা। বুথের অন্তর্গত ডোমপাড়া গ্রামের বাসিন্দারাই ভোট বয়কট করেছেন। লাঠি, ঝাঁটা হাতে বুথের বাইরে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের মহিলারা। যাতে কেউ ভোট দিতে না পারেন। 

গ্রামবাসীদের অভিযোগ

তাঁদের অভিযোগ গ্রামের রাস্তা মেরামতি হয়নি, এমনকি কোনও উন্নতিও হয়নি। সেই ক্ষোভ থেকেই তাঁদের এই ভোট বয়কট বলে জানা যাচ্ছে। ভোট তারা কাউকেই দেবেন না, জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি, বৃষ্টি হলে এই রাস্তা হাঁটার যোগ্য থাকে না। কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া যায় না। ঘাড়ে করে নিয়ে যেতে হয় রোগীকে। ভোরবেলা থেকে লাঠি , ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাঁরা। পাকা রাস্তার প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

 

Advertisement