scorecardresearch
 

সন্ত্রাসে ঘরছাড়াদের ফেরানোর উদ্যোগ কোচবিহার জেলা প্রশাসন

ভোটের পর থেকেই কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন খুনও হয়েছেন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের জেরে। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের সমালোচনা শুরু হয়েছিল। এবার তাঁদের নেওয়াদের ফেরানোর উদ্যোগ কোচবিহার জেলা প্রশাসন। তৃণমূল নেতৃত্বও সদর্থক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন প্রশাসনের সহযোগিতায়।

Advertisement
কোচবিহার রাজবাড়ি কোচবিহার রাজবাড়ি
হাইলাইটস
  • কোচবিহারে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে খুন একাধিক
  • অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে অসমে আশ্রয় নেন
  • তৃণমূল নেতৃত্ব সদর্থক মনোভাবে এগিয়ে এসেছে

ভোটের পর থেকেই কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন খুনও হয়েছেন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের জেরে। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের সমালোচনা শুরু হয়েছিল। এবার তাঁদের নেওয়াদের ফেরানোর উদ্যোগ কোচবিহার জেলা প্রশাসন। তৃণমূল নেতৃত্বও সদর্থক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন প্রশাসনের সহযোগিতায়।

পার্থপ্রতিম রায়ের বক্তব্য

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের জেরে সীমান্ত লাগোয়া অসমে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এলাকার বাসিন্দাদের ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস। আজ তৃনমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, “স্থানীয় উদ্যোগে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এই মানুষ গুলোকে আজই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।”

ভোট গণনার পর থেকেই টানা সন্ত্রাস

ভোট গণনার পর থেকেই কোচবিহার জেলা জুড়ে ব্যাপক ভাবে রাজনৈতিক হিংসা শুরু হয়। ওই রাজনৈতিক হিংসার জের গিয়ে পড়ে অসম-বাংলা সীমান্তের গ্রাম গুলোতেও। বাধ্য হয়ে সেখানকার অনেক বাসিন্দা সংলগ্ন অসমের গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। রাজনৈতিক হিংসার জেরে প্রায় ৪০০ এ রাজ্যের বাসিন্দা অসমে গিয়ে যে আশ্রয় নিয়েছেন সেকথা জানান অসমের বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অসমে আশ্রয় নেওয়া ওই বাসিন্দারা তাঁদের সমর্থক।

অসমে আশ্রয়গ্রহণকারীদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতারা

সেখানে গিয়ে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা অসমে আশ্রয় নেওয়া ওই বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেও আসেন। বিভিন্ন মহল থেকে আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে যাওয়া ওই বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার দাবি তোলা হয়। শেষ পর্যন্ত তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য তৎপর হয়। প্রশাসনের কর্তাদের সাথে কথা বলে তাঁদের ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, গ্রামে ফিরে যাতে আর নতুন করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মুখে না পড়তে হয়, সে ব্যপারেও তৎপর হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Advertisement

পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে

কোচবিহার জেলা প্রশাসন তৎপর হওয়ায় এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এর মধ্যেই এই জেলায় রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেক বাসিন্দা। বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। ওই হিংসা বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই প্রশাসন কড়া হাতে মোকাবিলা শুরু করেছে। সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যেমন টহল দিচ্ছে, তেমনি ব্লক, মহকুমা ও জেলা স্তরে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। স্যোসাল মিডিয়ায় যারা ফেক নিউজ করে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তি ফেক নিউজ ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে।

 

Advertisement