২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের তৃণমূলের সঙ্গেই জোট করে কাজ করব। শনিবার রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন বিমল গুরুং। গতকাল রাতেই তিনি শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রসঙ্গত, সাড়ে ৩ বছর পরে আজ সমতলে পা রেখেছেন গুরুং। সেখানে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেই সভার দিকে তাকিয়ে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহল।
কী বলেছেন গুরুং
বিমল গুরুং জানান, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে জোট করবেন। তাই তিনি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। প্রসঙ্গত, টানা ৩ বছরের বেশি সময় ধরে আত্মগোপন থাকার পরে আচমকা কলকাতায় দেখা যায় বিমল গুরুংকে।তার পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বেসরকারি হোটেলেই তিনি ছিলেন। সেখান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এনডিএ-এর সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করেন। সেইসঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। গুরুং এহেন আর্বিভাবের পরেই বদলের যায় পাহাড়ের রাজনীতির চিত্র। গুরুং বিরোধী বলে পরিচিত বিনয় তামাং-অনিত থাপা শিবির পাল্টা মিছিল বার করেন। কার্লিম্পং, কার্শিয়াং, দার্জিলিং-এ বিরাট মিছিল করেন তামাংরা। এর পরে বিনয় তামাং ও অনিত থাপাকে নবান্নে ডেকে এনে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই বৈঠকের পরে জিটিএ প্রধান বিনয় তামাংও সাফ জানিয়ে দেন, তিনি কোনও পরিস্থিতিতে গুরুংয়ের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করবেন না। পাহাড়ের মানুষ গুরুংকে মেনে নেবে না। তার মধ্যে আজ শিলিগুড়িতে পা রাখছেন বিমল গুরুং। ফলে পাহাড়ে মোর্চার দুই বিরোধী পক্ষের রেষারেষি বাতাবরণ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
আরও পড়ুন, কাল শিলিগুড়িতে গুরুংয়ের 'শক্তিশেল', সরাসরি পৌঁছবেন সভাস্থলে
নজর শিলিগুড়িতে
আজ শিলিগুড়িতে সভার আগেই বিমল গুরুং বার্তা দিয়ে রাখলেন, তিনি তৃণমূলের সঙ্গে জোটে তৈরি। তবে তৃণমূল থেকে এখনও কিছু এই সম্পর্কে বলেনি। তবে বিমল গুরুং ৩ বছর পরে প্রত্যাবর্তন করে পাহাড়ের বদলে সমতলে কেন সভা করলেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা। শিলিগুড়ির এই সভার তদারকি করেছেন গুরুং ঘনিষ্ঠ রোশন গিরি।