scorecardresearch
 

বিজেপি সাংসদ নিখোঁজ, আলিপুরদুয়ারে ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক

আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলার সন্ধান চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংসদের ছবি পোস্ট করলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সাংসদের সন্ধান চেয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পোস্ট করা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন রীতিমতো ভাইরাল।

Advertisement
জন বারলা জন বারলা
হাইলাইটস
  • সাংসদকে দেখা না গেলে জেলার সব থানায় অভিযোগের হুমকি
  • তৃণমূলই সাংসদকে কাজ করতে দিচ্ছে না, দাবি বিজেপির
  • তাঁকে ঘিরে বিতর্কের সাংসদ জবাব দেননি

সাংসদ নিখোঁজ? সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য

আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলার সন্ধান চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংসদের ছবি পোস্ট করলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সাংসদের সন্ধান চেয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পোস্ট করা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন রীতিমতো ভাইরাল।

রাজনৈতিক তরজা শুরু

যদিও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে।আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বৃহস্পতিবার সকালে সাংসদের সন্ধান চেয়ে তার ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন। তারপর থেকেই ফেসবুকে দুই দলের নেতা কর্মীদের রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যায়।

পোস্টদাতার দাবি

ভাস্কর মজুমদার বলেন, দু বছর আগে সাংসদ নির্বাচিত হন জনবাবু। তারপর থেকে জেলায় ওঁর টিকির নাগাল পায়নি জেলাবাসী। তিনি বলেন, ২০২০ সালের লকডাউনে মানুষ কাজ হারায়।পরিযায়ী শ্রমিকরা জেলায় ফিরে এলেও তাদের কোনও সাহায্য করেনি সাংসদ। ভাস্কর মজুমদার বলেন, বিজেপি বলেছিল ডাবল ইঞ্জিন সরকার চাই। জেলায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার হয়েছে। তবুও জেলার মানুষ করোনার টিকা পাচ্ছে না। সাংসদের উচিত জেলার মানুষদের জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে দরবার করা।

জেলার মানুষ টিকা থেকে বঞ্চিত

আলিপুরদুয়ার জেলায় পাঁচটা বিধানসভা আসনে পাঁচটা আসনেই জিতেছে বিজেপি। তাও জেলার মানুষ টিকা থেকে বঞ্চিত। এটা কেন হবে? প্রশ্ন তাঁর। 
কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্য নেই আলিপুরদুয়ার জেলায়। পরিযায়ী শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষ বেঁচে আছেন রাজ্য সরকারের র‍েশনে। এই বিপদে জেলার মানুষের পাশে পাওয়া যাচ্ছে না সাংসদকে। তাই তাঁর খোজ পেতে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছি। এরপরও টনক না নড়লে সাংসদের খোঁজে জেলার প্রতি থানায় মিসিং ডায়েরি করা হবে।

বিজেপির পাল্টা দাবি ও অভিযোগ

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাংসদকে ফোন করা হলে তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গা প্রসাদ শর্মা বলেন, ওদের বিধায়ক মানুষের টিকা চুরি করে নিজে টিকা নিয়েছে। রাজ্যের প্রতি জেলায় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা টিকা চুরি করে নজির সৃষ্টি করেছে।
দিদি নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তিনি রাজ্যবাসীকে ফ্রিতে টিকা দেবেন।
তিনি এখন টিকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিদিন চিঠি লিখছেন। গঙ্গা প্রসাদ শর্মার অভিযোগ, গত বছর করোনার সময় জেলার সাংসদকে ঘরবন্দী করে রেখেছিলেন তৃণমূল সরকার। সাংসদকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এখনও সাংসদকে করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
 

Advertisement

Advertisement