গোটা রাজ্যে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, মৃত্যু নিয়ে হাহাকার তৈরি হয়েছে, তখন উত্তরবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেল সুস্থতার হার। যা নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত স্বাস্থ্য মহল। কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভে এই প্রথম আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাড়ালো সুস্থতায় হার। কমেছে মোট মৃত্যুর সংখ্যাও।
কমলো মৃত্যুর সংখ্যা
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় উত্তরে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এর আগে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৮। তার আগে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২১। ফলে মৃত্যুর হার কমার হিসেবেও স্বস্তি ফিরেছে স্বাস্থ্য দপ্তরে। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদের মধ্যে ন জন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চার জন রায়গঞ্জ এর সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল এবং বাকি তিন জন শিলিগুড়ি বিভিন্ন নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন।
সংক্রমিতের চেয়ে সুস্থতার হার বাড়লো
অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় এক দিনে উত্তরবঙ্গের সংক্রমিত সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ১৯ জন। অন্যদিকে সুস্থতার হার বাড়তে বাড়তে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৯ জন। যা স্বস্তি ফিরিয়েছে উত্তরের স্বাস্থ্য মহলে।
আট জেলার আক্রান্তের খতিয়ান
এ দিন উত্তরের আট জেলায় ২ হাজার ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে ১৫৯ জন, কোচবিহারে ৩০০ জন, দার্জিলিঙে ৩৯০ জন কালিম্পংয়ে, ৮৫ জন জলপাইগুড়িতে ৪৩৫ জন, উত্তর দিনাজপুরে ২৭৮ জন দক্ষিণ দিনাজপুরে, ১৫৮ জন ও মালদায় ২১৪ জন বাসিন্দা রয়েছেন।
উত্তরে বেপরোয়া নার্সিংহোম, বাড়ছে ক্ষোভ
তবে নার্সিংহোম গুলির বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি সহ উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় অভিযোগের পাহাড় অব্যাহত। যা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ এর আশ্বাস দিলেও কাজ হচ্ছে না। সঙ্গে দোসর অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা। রোগীর ও তার পরিবারের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে দশ, পনেরো, কুড়ি, পঁচিশ যে যেমন ইচ্ছে অর্থ আদায় করছে। যা নিয়ে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে ক্ষোভ বাড়ছে।
ক্ষোভ সব রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই
এমনকী বিরোধীদের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ঘনিষ্ঠ মহলে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব এর নেতৃত্বে তবু কিছু পদক্ষেপের চেষ্টা করা হচ্ছে, বাকি কোনও জায়গায় তেমন কোনও উদ্যোগ এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েনি।