সাপ বাঁচাতে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত রেল গাড়ির নিচে কাটা পড়া থেকে ১৪ ফুট অজগরকে বাঁচিয়ে দিল ছয় যুবক।মানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট মেঘনাদ সাহা নগর এলাকায়।
১৪ ফুটের পাইথন
রবিবার রাতে মেঘনাদ সাহা নগরের ছয় যুবক দেখতে পান, একটি ১৪ ফুট লম্বা রক পাইথন রেল লাইনের ধারের জঙ্গল থেকে রেল লাইনে ওঠার চেষ্টা করছে। ছয় যুবক দেখতে পান দূর থেকে একটি দ্রুত গামী যাত্রীবাহি ট্রেন মাদারিহাট রেল ষ্টেশনের দিকে ছুটে আসছে।
লেজ ধরে টান
তৎক্ষনাৎ ওই ছয় যুবক প্রথমে অজগর সাপটিকে রেললাইনে উঠতে বাধা দেয়। তার লেজ টেনে ধরে। এরপরও বাগে আনা যাচ্ছিল না বিশাল সাপটিকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিন যুবক রেল লাইনের উপর উঠে পড়ে।ততক্ষণে দ্রুত গতির যাত্রীবাহী ট্রেনটি ঘটনাস্থলে চলে আসে।
বন দফতরের হাতে হস্তান্তর
রেল লাইনে উঠার মাত্র তিন ফুট দূর থেকে সাপটিকে বাঁচিয়ে দেয় ওই ছয় যুবক। ট্রেন চলে যাবার পর ওই ছয় যুবক সাপটিকে কোনও মতে ধরে ফেলে। সাপটিকে ধরার পর ওই ছয় যুবক ফোনে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে খবর দেয়। এরপর জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটিকে উদ্ধার করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেয়।
হঠাৎই ঘটে যায় ঘটনা
স্থানীয় ওই ছয় যুবকদের মধ্যে বিজয় সাহা, সুপেন দাস, বিশাল প্রধানরা জানান রাত দশটা নাগাদ কাজ শেষে রেললাইন ধরে বাড়ি ফিরছিলাম। আচমকাই দেখতে পাই ওই বিরাট অজগর সাপটি জঙ্গল থেকে রেল লাইনে উঠছে। খানিকটা দূরেই একটি দ্রুতগামী ট্রেন ছুটে আসছে। সুপেন দাস বলেন, আমরা রেললাইন থেকে ছয় জন ওই জঙ্গলের সামনে নেমে পড়ি। এবং একটি লাঠির সাহায্য নিয়ে সাপটিকে ধরার চেষ্টা করি। সাপটি আমাদের দিকে তেড়ে আসে। আমরা ছয় বন্ধু মিলে সাপটিকে রেল লাইনে উঠতে বাধা দিই। সুপেন দাস বলেন ট্রেনটি যখন ঘটনাস্থল দিয়ে ছুটে যাচ্ছিলো তখনই আমরা ঝুঁকি নিয়ে সাপটিকে ধরে ফেলি।এরপর বনদপ্তরের কর্মীরা এসে সাপটিকে ধরে নিয়ে চলে যায়।